বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

ছবি-সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জন করা ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পে ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে, ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করা ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।

এ ছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য নিজের আয়কর নথিতে দেখাননি তিনি। ওই ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্বরত ছিলেন।

জনপ্রিয়

বাগেরহাটে গ্লোবাল এডুকেশন ইনস্টিটিউটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

ডিআইজি প্রিজনস বজলুর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জন করা ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পে ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। অ্যাপার্টমেন্টের দাম বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে, ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করা ওই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।

এ ছাড়া অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য নিজের আয়কর নথিতে দেখাননি তিনি। ওই ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্বরত ছিলেন।