বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম, সহস্রাধিক জেলে দুবলারচরে সমবেত

বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে দুবলারচরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজে অংশ নিতে সমবেত হচ্ছেন সহস্রাধিক জেলে সোমবার (৩১ অক্টোবর) সহস্রাধিক জেলে দুবলারচরে এসে সমবেত হয়েছেন।

দুবলার আলোর কোল থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রামপাল জেলে সমিতির সেক্রেটারি তাহের আলী মোবাইল ফোনে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো তারা সসাগরে মাছধরে শুটকি করার জন্য আলোর কোল চরে এসেছেন আবহাওয়া অনুকূল থাকায় তারা ভালোভাবে মাছ ধরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

দুবলা জেলে পল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে জাতওয়ারি মাছসমূহ শুঁটকি করে থাকেন।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫ মাস জেলেরা বঙ্গোপসাগরে মাছধরে শুটকিকরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাবেন বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়।

পূর্ব সুন্দর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের দুবলারচরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে সাগরে মাছ ধরার জন্য এসেছেন। এ বছর বনবিভাগ থেকে দুবলার চারটি চরে জেলেদের থাকার জন্য ১০৩০টি অস্থায়ী মাচাঘর তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাচাঘর নির্মাণে সুন্দরবনের কোন বনজদ্রব্য ব্যবহার না করার জন্য জেলেদের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলেরা সাগরে মাছ ধরে যাতে নিরাপদে শুটকিকরতে পারে সে লক্ষ্যে বনবিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।

বার্তাকণ্ঠ/এন

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম, সহস্রাধিক জেলে দুবলারচরে সমবেত

প্রকাশের সময় : ১২:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে দুবলারচরে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের কাজে অংশ নিতে সমবেত হচ্ছেন সহস্রাধিক জেলে সোমবার (৩১ অক্টোবর) সহস্রাধিক জেলে দুবলারচরে এসে সমবেত হয়েছেন।

দুবলার আলোর কোল থেকে শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রামপাল জেলে সমিতির সেক্রেটারি তাহের আলী মোবাইল ফোনে বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো তারা সসাগরে মাছধরে শুটকি করার জন্য আলোর কোল চরে এসেছেন আবহাওয়া অনুকূল থাকায় তারা ভালোভাবে মাছ ধরতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

দুবলা জেলে পল্লির জেলেরা নিজেদের থাকা, মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখা ও শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর তৈরি করেন। জেলেরা সমুদ্র মোহনায় বেহুন্দি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও বাছাই করে জাতওয়ারি মাছসমূহ শুঁটকি করে থাকেন।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫ মাস জেলেরা বঙ্গোপসাগরে মাছধরে শুটকিকরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাবেন বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়।

পূর্ব সুন্দর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের দুবলারচরে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে সাগরে মাছ ধরার জন্য এসেছেন। এ বছর বনবিভাগ থেকে দুবলার চারটি চরে জেলেদের থাকার জন্য ১০৩০টি অস্থায়ী মাচাঘর তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাচাঘর নির্মাণে সুন্দরবনের কোন বনজদ্রব্য ব্যবহার না করার জন্য জেলেদের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলেরা সাগরে মাছ ধরে যাতে নিরাপদে শুটকিকরতে পারে সে লক্ষ্যে বনবিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে ডিএফও জানিয়েছেন।

বার্তাকণ্ঠ/এন