
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল ইরা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার(৪ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের সিংঙ্গারটেক গ্রামে তার বাবার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইরা আক্তার উপজলার সিংঙ্গারটেক গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে এবং এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ইরা তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তিনি শেখরনগর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। এক বছর আগে একই উপজেলায় পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চিত্রকোট এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল দেওয়ার হোসেন আলীর সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। পুলিশ কনস্টেবল দেওয়ান হোসেন আলী ঢাকা জেলার সাভার এলাকায় আশুলিয়ার শিল্প পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তাই তিনি তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
এদিকে শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাছির উদ্দীন শেখ জানান, রাতে শেখরনগর এলাকায় সাভার শিল্প পুলিশে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল দেওয়ান হোসেন আলীর স্থী ইরা আক্তার ঘরের আড়ার সাথে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, স্থানীয়দের খবরে তারা জানতে পারেন উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের সিংঙ্গারটেক গ্রামে এক নারী ঘরের আড়ার সাথে রশি প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা– সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বার্তাকণ্ঠ/এন
শহিদ শেখ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি 







































