বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলায় গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

মোংলায় তাঞ্জুরা আক্তার (তাঞ্জু) (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে নিজ ঘরের আড়ার সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।নিহত তাঞ্জু আক্তার জয়মনির ঠোটা এলাকার হযরত আলীর ৪ সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত তাঞ্জুরা আক্তার (তাঞ্জু) এর ভাবি মহিমা বেগম বলেন, আমি আমার রুমে ছিলাম আর তাঞ্জু ওর রুমে শুয়ে ছিলো।আমার শশুর আসলে আমি তাকে বলি গ্যান্জাম হইছে।আমার সন্তানকে আমার শশুরের কাছে দিয়ে আমি চুলার পিঠে বসি।এর ভিতর আমার মামাতো ননদ গিয়ে দেখে তাঞ্জু ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতেছে।সে তাৎক্ষণিক চিৎকার করে আমার কাছে আসে।আমি জিজ্ঞাস করলে সে বলে তাঞ্জু গলায় ফাস দিছে।তখন আমি গিয়ে গলার ফাস খুলে ফেলি।
নিহতের বড় বোন লাখি বেগম (৩৫) জানান, স্থানীয় একটি বিবাহর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসে তাঞ্জু।তারপর তাঞ্জুর সাথে প্রতিবেশী শুকুর আলীর স্ত্রী পপি খাতুন ও শুকুর আলীর বোন তহমিনা আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী শুকুর আলীর স্ত্রী পপি খাতুন ও শুকুর আলীর বোন তহমিনা আক্তার মিলে তানজু আক্তারকে চড় থাপ্পড় মারে। অভিমান করে নিজ শয়নকক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে তাঞ্জু আত্মহত্যা করে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিতু বলেন ভিকটিমের গলায় দড়ির চিহ্ন পাওয়া গেছে।হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্তায় আনা হয়েছে।
মোংলা থানার এস আই মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,প্রাথমিক সুরতহালে আমরা লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।রিপোর্ট পেলে সব জানা যাবে এবং আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
বার্তাকণ্ঠ/এন
জনপ্রিয়

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

মোংলায় গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ১০:১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
মোংলায় তাঞ্জুরা আক্তার (তাঞ্জু) (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে নিজ ঘরের আড়ার সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।নিহত তাঞ্জু আক্তার জয়মনির ঠোটা এলাকার হযরত আলীর ৪ সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত তাঞ্জুরা আক্তার (তাঞ্জু) এর ভাবি মহিমা বেগম বলেন, আমি আমার রুমে ছিলাম আর তাঞ্জু ওর রুমে শুয়ে ছিলো।আমার শশুর আসলে আমি তাকে বলি গ্যান্জাম হইছে।আমার সন্তানকে আমার শশুরের কাছে দিয়ে আমি চুলার পিঠে বসি।এর ভিতর আমার মামাতো ননদ গিয়ে দেখে তাঞ্জু ঘরের আড়ার সাথে ঝুলতেছে।সে তাৎক্ষণিক চিৎকার করে আমার কাছে আসে।আমি জিজ্ঞাস করলে সে বলে তাঞ্জু গলায় ফাস দিছে।তখন আমি গিয়ে গলার ফাস খুলে ফেলি।
নিহতের বড় বোন লাখি বেগম (৩৫) জানান, স্থানীয় একটি বিবাহর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসে তাঞ্জু।তারপর তাঞ্জুর সাথে প্রতিবেশী শুকুর আলীর স্ত্রী পপি খাতুন ও শুকুর আলীর বোন তহমিনা আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়।কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী শুকুর আলীর স্ত্রী পপি খাতুন ও শুকুর আলীর বোন তহমিনা আক্তার মিলে তানজু আক্তারকে চড় থাপ্পড় মারে। অভিমান করে নিজ শয়নকক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে তাঞ্জু আত্মহত্যা করে।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিতু বলেন ভিকটিমের গলায় দড়ির চিহ্ন পাওয়া গেছে।হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্তায় আনা হয়েছে।
মোংলা থানার এস আই মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,প্রাথমিক সুরতহালে আমরা লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।রিপোর্ট পেলে সব জানা যাবে এবং আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।
বার্তাকণ্ঠ/এন