
বরগুনার তালতলীতে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় তালতলী প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, গত ২০০৬ সালে এক রাখাইনের থেকে ভুক্তভোগী আবুল কালাম ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী যৌথভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশে ৬৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার আবুল কালামের ৩৩ শতাংশ ও সুন্দর আলী গাজীর ৩৪ শতাংশ ভাগাভাগি করে সীমানা দিয়ে কাটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। এর পরে আবুল কালামের জমিতে গাছপালা রোপন করে জীবিকার তাগিতে চট্টগ্রাম চলে যায়। সেখানে আবুল কালাম অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এই সুযোগে আবুল কালামের গাছপালা ও বাড়িঘর ভাংচুর করে জমি দখল করে বহুতলা ভবন নির্মাণ করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুন্দর আলী গাজী। পরে ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশকে জানালে স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করে ভুক্তভোগী পরিবার কে ৬.৫ শতাংশ জমি দেওয়ার জন্য শিক্ষককে বলা হয়। জমি আজ কাল দেওয়া কথা বলে আবারও সেই জমি দখল করেন। পরে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর তালতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক জাফর জমদ্দার এর মধ্যস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও ওই শিক্ষক একদিনের সময় নিয়ে ৮ নভেম্বর উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয় ৫ জন ব্যক্তিদের আসামি করে আদালতে মিথ্যা মারধরের মামলা করেন। আদালত তিন জনকে বাদ দিয়ে দুই জনের নামে সমন জারি করেন।
ভুক্তভোগী কালামের চাচাতো ভাই সবুজ বলেন, মামলার ৮-১০ দিন আগে থেকে ঐ শিক্ষকের সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নাই। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তবু আমাকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা কেউই মামলার সাথে বা উনার এ ঘটনার সাথে জড়িত না।
ভুক্তভোগী আবুল কালাম বলেন, আমি ও ঐ শিক্ষক এক সাথে জমি ক্রয় করি। প্রথমে আমার জমি বুঝিয়ে দিলেও পরে তা দখল করেন তিনি। এখন আমি অসহায় অবস্থায় সবার দ্বারে দ্বারে ঘোরাঘুরি করলেও কোনো বিচার পাই না। শিক্ষকতার আড়ালে তিনি ৭-৮ বছর আগে ১০০ কানি (প্রায় ২৫০ একর) কবলা জমি করেন। ৫-৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আমার জমিতে নির্মিত বহুতলা ভবনসহ অঢেল সম্পত্তির মালিক থাকায় আমি খুবই অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। উক্ত উক্ত শিক্ষক ক্ষমতা দেখাইয়া বিভিন্ন সময় আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুন্দর আলী গাজীর কাছে জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,জমির ট্রেসে একটু ঝামেলা আছে। সেটার সমস্যা সমাধান হলেই দুইপক্ষের সমান সমান জমি হবে। মিথ্যা মারধর মামলার বিষয় জানতে চাইলে বলেন এমনি হাতাহাতি হয়েছে ও আমার জমিতে জোর করে ঘর উঠতে পারে এই সন্দেহে মামলা করেছি।
বার্তাকণ্ঠ/এন
তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি 







































