বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে সেই চিকিৎসকের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে শহরজুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা 

কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেই চিকিৎসক মির্জা কাউসার অপহরণ হননি। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ডা. কাউসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এদিকে ডা. কাউসারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খান বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পক্ষ থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসক মির্জা কাউসারের পরিবারের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টি এলাকার ”মেডিক্স কোচিং সেন্টার” থেকে তাকে ‘তুলে নেওয়া’র অভিযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জঙ্গি সংশ্নিষ্টতায় গ্রেপ্তার ডা. মির্জা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসকের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক ডা. মির্জা নূর কাউসারের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে জেলা শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে জেলা শহরের বিশিষ্টজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শহরের সর্বত্রই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে জঙ্গি হামলার পরে নতুন করে আবারও জনসাধারণের মাঝে জঙ্গি ভীতি বিরাজ করছে।
তরুণ চিকিৎসক মির্জা কাউসারের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ থেকে গত ২০১৯ সালে পাস করেন এবং উক্ত কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। গত এক বছর ধরেই তিনি মেডিক্স কোচিং সেন্টার এর পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায় তার বাড়ি ও তিনি আবদুল হাকিমের ছেলে। জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকায় এক আইনজীবীর বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানিয়েছেন, ছাত্রজীবনে তিনি তাবলিগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে কারণেই হয়ত তার জঙ্গি সংশ্নিষ্টতার বিষয়ে কখনও কেউ সন্দেহ করেননি। এদিকে বাজিতপুরের উজানচর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার বাড়িটি ওই এলাকাতে ‘বিএনপি বাড়ি’ হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত।
উজানচর গ্রামের তার বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, ছোট বেলা থেকেই মির্জা কাউসার বেশ ধার্মিক। তাবলীগের সাথেও জড়িত মির্জা কাউসার। তবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে এলাকাবাসী অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

কিশোরগঞ্জে সেই চিকিৎসকের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে শহরজুড়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা 

প্রকাশের সময় : ০৩:১৪:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
কিশোরগঞ্জে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেই চিকিৎসক মির্জা কাউসার অপহরণ হননি। জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ডা. কাউসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এদিকে ডা. কাউসারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আ ন ম নৌশাদ খান বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পক্ষ থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসক মির্জা কাউসারের পরিবারের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টি এলাকার ”মেডিক্স কোচিং সেন্টার” থেকে তাকে ‘তুলে নেওয়া’র অভিযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, জঙ্গি সংশ্নিষ্টতায় গ্রেপ্তার ডা. মির্জা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চিকিৎসকের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রভাষক ডা. মির্জা নূর কাউসারের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে জেলা শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবরে জেলা শহরের বিশিষ্টজনরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শহরের সর্বত্রই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে জঙ্গি হামলার পরে নতুন করে আবারও জনসাধারণের মাঝে জঙ্গি ভীতি বিরাজ করছে।
তরুণ চিকিৎসক মির্জা কাউসারের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ থেকে গত ২০১৯ সালে পাস করেন এবং উক্ত কলেজে ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। গত এক বছর ধরেই তিনি মেডিক্স কোচিং সেন্টার এর পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকায় তার বাড়ি ও তিনি আবদুল হাকিমের ছেলে। জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকায় এক আইনজীবীর বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান জানিয়েছেন, ছাত্রজীবনে তিনি তাবলিগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সে কারণেই হয়ত তার জঙ্গি সংশ্নিষ্টতার বিষয়ে কখনও কেউ সন্দেহ করেননি। এদিকে বাজিতপুরের উজানচর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার বাড়িটি ওই এলাকাতে ‘বিএনপি বাড়ি’ হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত।
উজানচর গ্রামের তার বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, ছোট বেলা থেকেই মির্জা কাউসার বেশ ধার্মিক। তাবলীগের সাথেও জড়িত মির্জা কাউসার। তবে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি সম্পর্কে এলাকাবাসী অবগত নন বলে জানিয়েছেন।