
আওয়ামী লীগ নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনায় মর্নিংসান লঞ্চের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মশিউর রহমান বলেন, মর্নিংসান লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় দুরন্ত বিপ্লবকে বহনকারী নৌকাটি। সাতার জানতেন না তিনি। দুর্ঘটনার দিন দুরন্ত বিপ্লবের পায়ে থাকা জুতা ওই নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জুতা দেখেই তাকে শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, লঞ্চটি যিনি চালাচ্ছিলেন ওই সুকানির বয়স মাত্র ২১ বছর। এত বড় একটা লঞ্চ কতখানি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বা মর্নিংসান লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে শনিবার রাতে দুরন্ত বিপ্লবের মৃত্যুর ঘটনার করা ছায়া তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সময় সংবাদকে জানায়, নৌকা-লঞ্চের সংঘর্ষ হয়, এতে নৌকা থেকে পড়ে যান দুরন্ত বিপ্লব। ঢাকা থেকে বরিশালগামী মর্নিংসান-৫ লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় নৌকাডুবে পানিতে তলিয়ে যান তিনি। তাকে খুন করা হয়নি।
দুরন্ত বিপ্লব ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পাঁচদিন পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা জানান। দুরন্ত বিপ্লবকে মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক মফিজুল উদ্দিন প্রধান।
উল্লেখ্য: ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার পর কেরানীগঞ্জের বটতলা ঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিয়ে সোয়ারীঘাট আসছিলেন বিপ্লব। ওই নৌকার মাঝি ছিলেন শামসু নামের একজন। একই সময়ে ঢাকা-বরিশাল রুটের মর্নিংসান-৫ লঞ্চটি সোয়ারীঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে যাত্রা করে। দুরন্ত বিপ্লবসহ আরও চারজনকে বহন করা শামসু মাঝির নৌকাটি নদীর দুই-তৃতীয়াংশ পাড়ি দেয়ার পর মর্নিংসান-৫ লঞ্চটির ডান পাশে ধাক্কা লাগে। এতে উল্টে যায় নৌকাটি। দুর্ঘটনার পর আশপাশের নৌকা গিয়ে চার যাত্রী ও শামসু মাঝিকে উদ্ধার করে। তবে নিখোঁজ হন একযাত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদক 







































