
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা হবে নতুন কমিটি। এর আগে ২০১৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির কাছে তৃণমূলের প্রত্যাশা ছিল- জেলা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন। কিন্তু সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন তৃণমূলের সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এ কমিটির নেতৃত্ব সাত বছর অতিবাহিত হলেও স্থাপন হয়নি নিজস্ব কার্যালয়।
তাদের সময়টাতে দলীয় কার্যক্রম পালিত হয়েছে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত বাসায়।
বড় পদধারী এ দুই নেতার বাসভবনই জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর কার্যালয় ছিল জেলা শহরের মাদাম জিরো পয়েন্ট এলাকায়, আর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরীর কার্যালয় ছিল পুরাতন মহিলা কলেজ সংলগ্ন তার বাসভবনে।
পৃথক দুই স্থানে কার্যালয় থাকায় সাধারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্তিতে পড়তেন। তবে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক তাদের অনুসারীদের নিয়ে তাদের নিজ নিজ বাসভবনে সভা সমাবেশ করেছেন। আর জেলা আওয়ামী লীগের ও অঙ্গসংগঠনের বড় বড় সভাগুলো হয়েছে সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে।
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছে, বর্তমান কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপনের যে প্রত্যশা ছিল, সেটা পূরণ হয়নি। দলের সুসময়ে আলোর মুখ দেখেনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু
বলেন, বিগত সময়ে আমার ইচ্ছে ছিল নিজস্ব কার্যালয় করার। কিন্তু দলের অন্য নেতাদের সহযোগিতা পাইনি। তারা সহযোগীতা না করায় অফিস করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি আবারও সভাপতি হতে পারলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিজ উদ্যোগেই দলের নিজস্ব অফিস স্থাপন করবো।
বিগত সাত বছরেও যে কার্যালয় স্থাপন করা সম্ভব হয়নি, আগামী ৬ মাসের কিভাবে কার্যালয় স্থাপন হবে- এমন প্রশ্নে সভাপতি পিংকু বলেন, আমি করতে পারবো। সেই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে।
জনি সাহা লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : 





























