
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
রোববার(২০ নভেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক রোকেয়া রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনের অভিযোগে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে মুন্সীগঞ্জ পঞ্চসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে আসামী করে বিভিন্ন সময়ে ৫টি মামলা দায়ের করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন আরও জানান, অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলায় মুন্সীগঞ্জ সদরের পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই মামলায় মোশারফ হোসেন নামে আরেকজনকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম জানান, মৎস্য সংরক্ষণ আইনে দায়ের করা ৫ মামলায় হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত গত ২৮ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার মালিকানাধীন পঞ্চসারের গোসাইবাগ এলাকার জিএম কর্পোরেশন ও ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকায় সওবান ফ্যাক্টরিতে পৃথক অভিযানে ২ কোটি ৫১ লাখ কোটি মিটার ও ১ কোটি ৭ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধারের ঘটনায় নৌ-পুলিশ সদর থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন। অপর একটি মামলা দায়ের করে কোস্টগার্ড। সব মিলে তার বিরুদ্ধে মোট মামলা ৫টি।
ওই ৫ মামলায় রোবার মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: 







































