
বলা হয় ফুটবল মাঠের পাশাপাশি দুই কোচের মনস্তাত্তিক আর স্ট্র্যাটেজিকাল দ্বৈরথও। বিশ্বকাপের ফাইনালে তাই স্পটলাইটের পুরোটাই দুই মাস্টারমাইন্ড দিদিয়ের দেশম আর লিওনেল স্ক্যালোনিতে। লড়াইটা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তারুণ্যের। লড়াইটা কৌশল আর মস্তিষ্কের। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় একাদশ আর ফরমেশন সাজাতে দেশমের জুড়ি মেলা ভার। সীমিত শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে দারুণ সিদ্ধহস্ত এই ফরাসি। অন্যদিকে স্ক্যালেনি দলকে বেঁধেছেন এক সুতোয়।
বড় আসরে বরাবরই ব্যতিক্রম এই ফরাসি। লুসাইলের ফাইনালে তাই বাড়তি দৃষ্টি তার স্ট্রাটেজিতে। প্রয়োজনে যিনি পরিবর্তন আনতে পারেন নিজের কমফোর্ড জোন ৪-২-৩-১ ফরমেশনে। পুরো আসরে এমবাপ্পেকে নাম্বার নাইন না খেলিয়ে উইঙ্গার হিসেবে খেলোনোর ফল পেয়েছেন হাতে নাতে।
ভাগ্য সবসময়ই সাহসীদের পক্ষে থাকে। তাইতো তিনি ডিফেন্ডার থিয়ো হার্নান্দেজ-জুলস কুন্ডেকে লাইসেন্স দিয়েছিলেন ওপরে ওঠার। ক্লাবে ধুঁকতে থাকা গ্রিজম্যান ফ্রান্স দলে যে অপ্রতিরোধ্য তার মূল কারিগরও দিদিয়ে দেশম।
বয়স, অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও উদ্যমে এক ফোঁটা ঘাটতি নেই লিওনেল স্ক্যালেনির। মেনোত্তি আর বিলার্দোর পর তৃতীয় আর্জেন্টাইন কোচ হিসেবে শিরোপা জেতার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছেন তিনি।
২০১৮ বিশ্বকাপ ব্যর্থতা শেষে হোর্হে সাম্পাওলির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর বিশ্বকাপের আগে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত রেখেছেন আলবিসেলেস্তেদের। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত কৌশল পরিবর্তনে স্ক্যালেনির জুড়ি মেলা ভার। তার জাদুতেই লাতিন নান্দনিক ফুটবলের ছন্দ ফিরে পেয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। পুরো টুর্নামেন্ট খেলেছে একটা দল হয়ে। এবার শেষ উৎসবের অপেক্ষা।
বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক 




































