বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে

  • ঢাকা ব্যুরো।।
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৪৮

চৈত্রের শেষ সপ্তাহে এসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরো সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এরই মধ্যে যশোরসহ বেশ কয়েক জেলায় তীব্রতা বেড়ে থার্মোমিটারের পারদ উঠে যেতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে তীব্র গরমের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার জানান, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকাসহ কিছু জায়গায় থার্মোমিটারের পারদ ৪২ ডিগ্রিতে উঠে যেতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে দুই এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া যশোর, রাজশাহী, ফরিদপুরে থার্মোমিটারের পারদ ওঠেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, যে হিট ওয়েভ চলছে, তা নিয়ে আমরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছি। এখন যেটি চলছে সেটিকে আমরা মৃদু থেকে মাঝারি বলছি। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ যখন ৪০-৪২ ডিগ্রিতে চলে যাবে, তখন সেটি কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ কারণেই সতর্কবার্তা দেয়া।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ১৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। ২৪ এপ্রিলের পর থেকে সিলেটের হাওর অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল শুরুর আশঙ্কা আছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

জনপ্রিয়

দেশের উদ্দেশ্যে বাসভবন ছাড়লেন তারেক রহমান

যশোরে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

চৈত্রের শেষ সপ্তাহে এসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আরো সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এরই মধ্যে যশোরসহ বেশ কয়েক জেলায় তীব্রতা বেড়ে থার্মোমিটারের পারদ উঠে যেতে পারে ৪২ ডিগ্রিতে। ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে তীব্র গরমের আভাস দিলো আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার জানান, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের মধ্যে ঢাকাসহ কিছু জায়গায় থার্মোমিটারের পারদ ৪২ ডিগ্রিতে উঠে যেতে পারে। চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে দুই এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র আকারে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া যশোর, রাজশাহী, ফরিদপুরে থার্মোমিটারের পারদ ওঠেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, যে হিট ওয়েভ চলছে, তা নিয়ে আমরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছি। এখন যেটি চলছে সেটিকে আমরা মৃদু থেকে মাঝারি বলছি। কিন্তু এই তাপপ্রবাহ যখন ৪০-৪২ ডিগ্রিতে চলে যাবে, তখন সেটি কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হবে। এ কারণেই সতর্কবার্তা দেয়া।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ১৪ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ জেলার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের অন্যান্য জেলায় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। ২৪ এপ্রিলের পর থেকে সিলেটের হাওর অঞ্চলে পাহাড়ি ঢল শুরুর আশঙ্কা আছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা এবং সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।