মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক নাদিম হত্যা:আসামীদের শাস্তির দাবিতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের মানববন্ধন

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার বিকালে পৌরশহরের বাসস্ট্যন্ডে জামালপুর-কামালপুর সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদ,নিন্দা ও সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।  সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্ঠা ও সমকাল প্রতিনিধি মাসুদ উল হাসানের সঞ্চালনায় এবং সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্ঠা জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন,ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আফছার আলী, সদস্য শফিক,সাইফুল ইসলাম,রতন ইনতিসার,মাসুদুর রহমান ও আতিকুর রহমান প্রমূখ।
এছাড়া মানবববন্ধনে অংশ নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীন,সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়ন, সাংবাদিক সরওয়ার জামান রতন,আশরাফুল হায়দার, মতিন রহমান,মোন্তাহেনা আশা,এম এ ছালাম মাহমুদ,এমদাদুল হক লালন,আল মুজাহিদ বাবু,মোহাম্মদ আসাদ,লিয়াকত হোসেন বাবুল ও আলমাছ আলী, প্রমূখ।
জানা যায়, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও ৭১ টিভির বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানী নাদিম পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে পাটহাটি মোড়ে পৌঁছা মাত্র আগে থেকেই ওতপেতে থাকা সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগীরা নাদিমের গতিরোধ করে।
এক একপর্যায়ে কিল ঘুষি মারতে মারতে টেনে হেচরে অন্ধকার গলিতে  নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ  হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের নামে মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত বাবু চেয়ারম্যানকে ৫ দিন ও ৬ আসামীকে চারদিন ও ৬ আসামীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সকল আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বকশীগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন,আমাকে স্বামীহারা ও আমার সন্তানদের এতিম করেছে চেয়ারম্যান বাবু। বাবুর নির্দেশেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
জনপ্রিয়

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী শতাধিক

সাংবাদিক নাদিম হত্যা:আসামীদের শাস্তির দাবিতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশের মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোমবার বিকালে পৌরশহরের বাসস্ট্যন্ডে জামালপুর-কামালপুর সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদ,নিন্দা ও সকল অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।  সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্ঠা ও সমকাল প্রতিনিধি মাসুদ উল হাসানের সঞ্চালনায় এবং সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুহৃদ সমাবেশের উপদেষ্ঠা জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন,ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আফছার আলী, সদস্য শফিক,সাইফুল ইসলাম,রতন ইনতিসার,মাসুদুর রহমান ও আতিকুর রহমান প্রমূখ।
এছাড়া মানবববন্ধনে অংশ নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীন,সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ লায়ন, সাংবাদিক সরওয়ার জামান রতন,আশরাফুল হায়দার, মতিন রহমান,মোন্তাহেনা আশা,এম এ ছালাম মাহমুদ,এমদাদুল হক লালন,আল মুজাহিদ বাবু,মোহাম্মদ আসাদ,লিয়াকত হোসেন বাবুল ও আলমাছ আলী, প্রমূখ।
জানা যায়, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ও ৭১ টিভির বকশীগঞ্জ সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানী নাদিম পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে পাটহাটি মোড়ে পৌঁছা মাত্র আগে থেকেই ওতপেতে থাকা সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সহযোগীরা নাদিমের গতিরোধ করে।
এক একপর্যায়ে কিল ঘুষি মারতে মারতে টেনে হেচরে অন্ধকার গলিতে  নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ  হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনের নামে মামলা করেন নিহত নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। বিজ্ঞ আদালত বাবু চেয়ারম্যানকে ৫ দিন ও ৬ আসামীকে চারদিন ও ৬ আসামীকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সকল আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বকশীগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে।
সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন,আমাকে স্বামীহারা ও আমার সন্তানদের এতিম করেছে চেয়ারম্যান বাবু। বাবুর নির্দেশেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।