সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা পুতিনের

ক্রিমিয়া সেতুর ওপর ‘সন্ত্রাসী’ হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে সংযোগকারী একমাত্র সেতুটির ওপর সোমবারের ওই হামলায় দু’জন নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো। কিন্তু কিয়েভ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দায় স্বীকার করেনি।

ইউক্রেনীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে ২০১৪ সালে দখল করে সংযুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া। এর পর ২০১৮ সালে রাশিয়া এবং ক্রিমিয়ার মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্বলিত কার্চ সেতুটি তৈরি করা হয়।

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেতুটির সাপোর্ট ব্যবস্থা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এখনো ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে, সোমবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, আনম্যানড সার্ফেস ভ্যাসেল (ইউএসবি) ড্রোন- যা আকাশে নয়, বরং পানির ওপর দিয়ে চলে- দিয়ে সেতুটির ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। কিন্তু এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেখতে পায়নি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসি রাশিয়াকে জানিয়েছে, তারাই হামলা চালিয়েছে এবং পানিতে চলে- এমন ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বহীন’ এবং ‘নিষ্ঠুর’ হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন।

ওই হামলায় সেতুর ওপরের সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পাশেই যে রেললাইন রয়েছে, সেটির ক্ষতি হয়নি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য এই সেতুটি রাশিয়ার বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিভিশনে এদিন উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন বলেছেন, পহেলা নভেম্বরের মধ্যে সেতুটির মেরামত কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। আর পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুর ওপরের সড়কের একদিকের চলাচল চালু হবে।

সোমবারের হামলার পর ক্রিমিয়া থেকে বের হওয়ার অন্য সড়ক পথে ব্যাপক জ্যামের তৈরি হয় এবং অনেক রেল চলাচল বিলম্বিত হয়। সেতুর পাশাপাশি যে ফেরি চলাচল চালু রয়েছে, সেখানেও ব্যাপক জ্যামের তৈরি হয়।

ছুটি কাটাতে গিয়ে যারা ক্রিমিয়ায় আটকে পড়েছে, তাদের ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অন্য যেসব এলাকা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে, সেদিক দিয়ে ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়ার কর্মকর্তারা। এ জন্য কার্ফুর সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে এবং সেনাবাহিনী পথঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করবে।

ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্রিমিয়ায় বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ক্রিমিয়াতে রুশ প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসিনভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ক্রিমিয়ার ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয়

ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু জানুয়ারিতে

‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা পুতিনের

প্রকাশের সময় : ১২:১০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

ক্রিমিয়া সেতুর ওপর ‘সন্ত্রাসী’ হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে সংযোগকারী একমাত্র সেতুটির ওপর সোমবারের ওই হামলায় দু’জন নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো। কিন্তু কিয়েভ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দায় স্বীকার করেনি।

ইউক্রেনীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে ২০১৪ সালে দখল করে সংযুক্ত করে নিয়েছিল রাশিয়া। এর পর ২০১৮ সালে রাশিয়া এবং ক্রিমিয়ার মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সম্বলিত কার্চ সেতুটি তৈরি করা হয়।

রাশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেতুটির সাপোর্ট ব্যবস্থা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এখনো ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে অসমর্থিত খবরে বলা হচ্ছে, সোমবার সকালে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনকে দায়ী করে রাশিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, আনম্যানড সার্ফেস ভ্যাসেল (ইউএসবি) ড্রোন- যা আকাশে নয়, বরং পানির ওপর দিয়ে চলে- দিয়ে সেতুটির ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। কিন্তু এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেখতে পায়নি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

তবে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বিবিসি রাশিয়াকে জানিয়েছে, তারাই হামলা চালিয়েছে এবং পানিতে চলে- এমন ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় একটি টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বহীন’ এবং ‘নিষ্ঠুর’ হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছেন।

ওই হামলায় সেতুর ওপরের সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পাশেই যে রেললাইন রয়েছে, সেটির ক্ষতি হয়নি।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য এই সেতুটি রাশিয়ার বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিভিশনে এদিন উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন বলেছেন, পহেলা নভেম্বরের মধ্যে সেতুটির মেরামত কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। আর পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেতুর ওপরের সড়কের একদিকের চলাচল চালু হবে।

সোমবারের হামলার পর ক্রিমিয়া থেকে বের হওয়ার অন্য সড়ক পথে ব্যাপক জ্যামের তৈরি হয় এবং অনেক রেল চলাচল বিলম্বিত হয়। সেতুর পাশাপাশি যে ফেরি চলাচল চালু রয়েছে, সেখানেও ব্যাপক জ্যামের তৈরি হয়।

ছুটি কাটাতে গিয়ে যারা ক্রিমিয়ায় আটকে পড়েছে, তাদের ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অন্য যেসব এলাকা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে, সেদিক দিয়ে ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছে রাশিয়ার কর্মকর্তারা। এ জন্য কার্ফুর সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে এবং সেনাবাহিনী পথঘাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করবে।

ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ক্রিমিয়ায় বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ক্রিমিয়াতে রুশ প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসিনভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ক্রিমিয়ার ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।