
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংকে। ফলে, তার অনুপস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ে শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম এবং রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ২৫ জুন থেকে ঊর্ধ্বতন এই চীনা কূটনীতিককে জনসমক্ষে আর দেখা যায়নি।
গণমাধ্যমে তার শেষ উপস্থিতি ছিল রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকোর সঙ্গে। যিনি রাশিয়ায় ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের পরে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে বেইজিংয়ে এসেছিলেন।
সোমবার একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে কিনের দীর্ঘস্থায়ী অনুপস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, এ বিষয়ে বলার মতো তার কাছে মতো কোনো তথ্য নেই। তবে চীনের কূটনৈতিক কার্যক্রম যথারীতি পরিচালিত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেননি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।
ইইউ মুখপাত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এই মাসের শুরুতে বেইজিংয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেলের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল কিনের। কিন্তু চীন বৈঠকটি পিছিয়ে দিয়ে ইইউকে জানায় বৈঠকটি এখনই আর সম্ভব নয়। ৫ জুলাই বোরেলের বেইজিং সফরের কথা ছিল। এর ঠিক দুই দিন আগে ইইউকে এ বৈঠক স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান ওয়াং ইর পদ কিন গ্যাংয়ের ওপরে। কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চীনের রাজধানীতে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জ্যানেট ইয়েলেন এবং জন কেরির সফরও রয়েছে এর মধ্য। তবে এমন সময় কিনের অনুপস্থিতি নানা জল্পনা ও সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে।
অবশ্য এর আগেও ঊর্ধ্বতন চীনা কর্মকর্তাদের হঠাৎ আড়ালে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর কয়েক মাস পরে তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা।
এমন আকস্মিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সির দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বার্তাকস্ঠ ডেস্ক 







































