রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিরো আলমকে মারধরের ঘটনাকে ‘সামান্য অন্যায়’ বললেন ইসি আলমগীর

ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) মারধরের ঘটনাটিকে ‘সামান্য অন্যায়’ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই ভোটগ্রহণের শেষের দিকে এসে এই অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যালটে ভোট করেছি, এতে স্ট্যাম্পিং হয় নাই। যেটা নিয়ে আমরা বেশি ভয় পেয়েছিলাম। এর কারণে কোনও বিশৃঙ্খলা বা অঘটন ঘটেনি। সেদিক দিয়ে সাকসেস হয়েছি। আপনারা দেখবেন, কাল অন্যান্য জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ঢাকাতেও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে কারা যে এটা করলো (হিরো আলমকে মারধর), এটা তদন্তের মাধ্যমেই বের হয়ে আসবে।

ইসি আলমগীর বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছিল। কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি। বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হয়। একেবারে শেষ সময়ের দিকে একজন প্রার্থী কেন্দ্র পরিদর্শনে যান, সমর্থক ও ইউটিউবার নিয়ে ঢুকার চেষ্টা করেন। এটা পুলিশ আটকে দেয় যেহেতু আইন অনুযায়ী তিনি এটা পারেন না। তারপর উনাকেসহ চার/পাঁচ জনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। উনি প্রবেশ করে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন কতিপয় দুষ্কৃতকারী তাকে আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, এ হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ যেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেখানে ‘সামান্য একটু’ এই অন্যায় কাজ হয়, সেটা আমরা অ্যাকসেপ্ট করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য সাক্ষী নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনারকে লিখিত চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা দিতে না পারার এই ব্যর্থতা কার- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি প্রটেকশন দেওয়ার সুযোগ নাই। এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন। কারও কোনও দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা, অনীহা ছিল কিনা; এগুলো দেখে তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জানাবেন। এজন্যই আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি।

সাবেক এই ইসি সচিব আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং ওই কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকে, সেই কেন্দ্রের বাইরে কিছু হলে তারা কিছু করতে পারেন না। কিন্তু তারা আমাদের জানিয়েছে। তখন আমরা স্থানীয় থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আর আমরা পুলিশ কমিশনারকে বলেছি। কেন্দ্রের ভেতরে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বাইরে তো পারবে না। কারও কোনও অবহেলা থাকলে, উসকানি থাকলে পুলিশ কমিশনার তা দেখবে এবং ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জানাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট পড়ার হার কেন কম তা আপনারা বিশ্লেষণ করবেন। এতে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারবো। ইসির কোনও ত্রুটি ছিল না। টার্নআউট আরও বেশি হলে ভালো হতো। আর ওই ঘটনাটা (হিরো আলমের ওপর হামলা) ছাড়া আমরা সন্তুষ্ট। তবে ইসি তো ভোট আর জোর করে নিতে পারে না। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দিতে না গেলে ৫০ ডলার জরিমানা। সেটা তো আর আমরা করতে পারি না। আমরা মাইকিং করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

জনপ্রিয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৫ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

হিরো আলমকে মারধরের ঘটনাকে ‘সামান্য অন্যায়’ বললেন ইসি আলমগীর

প্রকাশের সময় : ১০:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলমকে (হিরো আলম) মারধরের ঘটনাটিকে ‘সামান্য অন্যায়’ হিসেবে দেখছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই ভোটগ্রহণের শেষের দিকে এসে এই অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ব্যালটে ভোট করেছি, এতে স্ট্যাম্পিং হয় নাই। যেটা নিয়ে আমরা বেশি ভয় পেয়েছিলাম। এর কারণে কোনও বিশৃঙ্খলা বা অঘটন ঘটেনি। সেদিক দিয়ে সাকসেস হয়েছি। আপনারা দেখবেন, কাল অন্যান্য জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ঢাকাতেও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে কারা যে এটা করলো (হিরো আলমকে মারধর), এটা তদন্তের মাধ্যমেই বের হয়ে আসবে।

ইসি আলমগীর বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছিল। কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি। বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হয়। একেবারে শেষ সময়ের দিকে একজন প্রার্থী কেন্দ্র পরিদর্শনে যান, সমর্থক ও ইউটিউবার নিয়ে ঢুকার চেষ্টা করেন। এটা পুলিশ আটকে দেয় যেহেতু আইন অনুযায়ী তিনি এটা পারেন না। তারপর উনাকেসহ চার/পাঁচ জনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। উনি প্রবেশ করে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন কতিপয় দুষ্কৃতকারী তাকে আক্রমণ করে।

তিনি বলেন, এ হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনক ঘটনা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ যেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সেখানে ‘সামান্য একটু’ এই অন্যায় কাজ হয়, সেটা আমরা অ্যাকসেপ্ট করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য সাক্ষী নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনারকে লিখিত চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা দিতে না পারার এই ব্যর্থতা কার- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সার্বিক দায়িত্বে থাকে। সরাসরি প্রটেকশন দেওয়ার সুযোগ নাই। এই প্রটেকশন দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সেটা পুলিশ কমিশনার দেখবেন। কারও কোনও দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা, অনীহা ছিল কিনা; এগুলো দেখে তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জানাবেন। এজন্যই আমরা নির্দেশনা দিচ্ছি।

সাবেক এই ইসি সচিব আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার এবং ওই কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকে, সেই কেন্দ্রের বাইরে কিছু হলে তারা কিছু করতে পারেন না। কিন্তু তারা আমাদের জানিয়েছে। তখন আমরা স্থানীয় থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আর আমরা পুলিশ কমিশনারকে বলেছি। কেন্দ্রের ভেতরে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বাইরে তো পারবে না। কারও কোনও অবহেলা থাকলে, উসকানি থাকলে পুলিশ কমিশনার তা দেখবে এবং ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের জানাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট পড়ার হার কেন কম তা আপনারা বিশ্লেষণ করবেন। এতে আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারবো। ইসির কোনও ত্রুটি ছিল না। টার্নআউট আরও বেশি হলে ভালো হতো। আর ওই ঘটনাটা (হিরো আলমের ওপর হামলা) ছাড়া আমরা সন্তুষ্ট। তবে ইসি তো ভোট আর জোর করে নিতে পারে না। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দিতে না গেলে ৫০ ডলার জরিমানা। সেটা তো আর আমরা করতে পারি না। আমরা মাইকিং করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।