
স্তন ক্যানসার নারীদের কাছে একটি আতঙ্কের নাম। পুরুষের চেয়ে নারীর স্তন ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতভাগ বেশি। আর নারীরা তাদের নিজেদের এই গোপন অঙ্গের রোগগুলো সহজে কারও কাছে বলতে চান না। ফলে তারা স্তন ক্যানসারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বেশির ভাগ নারী নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে যেসব মায়েরা সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ান না, তাদের স্তন ক্যানসারে ঝুঁকি বেশি।
স্তনে পিণ্ড হওয়ার ঝুঁকি : স্তনে পিণ্ড হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে যে বিষয়গুলো তা হলো আগে স্তন ক্যানসার হওয়া। কোনো নিকটাত্মীয়ের স্তন ক্যানসার থাকা। বয়স বৃদ্ধি (৩৫ বছরের আগে ৫ শতাংশ এবং ৫০ বছরের আগে ২৫ শতাংশ)। সন্তান জন্ম না দেওয়া বা ৩০ বছরের পর প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়া। স্তন্যপান না করানো। মাসিক স্বাভাবিক সময়ের আগে শুরু হওয়া ও পরে বন্ধ হওয়া। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। বুকে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব (মাত্রা কম হলেও)। স্তনের আকার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত এ ঝুঁকির কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কোন ধরনের ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, তা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
পরামর্শ : স্তনে পিণ্ড সৃষ্টি হলে এবং সেখানে ব্যথা অনুভূত হলে প্রথমে সাধারণ চিকিৎসক বা গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। স্তনের অনেক পিণ্ডই ক্ষতিকর নয়। তবু কিছু ক্ষেত্রে বায়োপ্সি করার প্রয়োজন হতে পারে। ম্যামোগ্রাফি বা বায়োপ্সিতে আরও গুরুতর পরিবর্তন ধরা পড়লে ক্যানসার সার্জন ও অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। –সুত্র আমাদের সময়
লেখক : চিফ মেডিক্যাল অফিসার। জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা -চেম্বার : মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিস লি.
স্বাস্থ্য ডেস্ক।। 







































