শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা

ছয় বছরের ব্যবধানে এবার সেই সাকিবের হাত ধরেই ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন ফরম্যাটে আবারও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান।

তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার এক সপ্তাহ পরেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি।অভিজ্ঞতায়ই সাকিবের ওপর আস্থা রেখেছে বোর্ড।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম পরীক্ষা। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এ অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এর পর ২০১৯ সালে আইসিসি কতৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।

এর পর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।

সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।

সাকিব ছাড়াও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আসন্ন দুই মেগা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অভিজ্ঞ সাকিবের কাঁধেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বেনাপোলে কুলি-শ্রমিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল

ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের নাম ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

ছয় বছরের ব্যবধানে এবার সেই সাকিবের হাত ধরেই ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে এক অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিন ফরম্যাটে আবারও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান।

তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার এক সপ্তাহ পরেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল বিসিবি।অভিজ্ঞতায়ই সাকিবের ওপর আস্থা রেখেছে বোর্ড।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেটাই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম পরীক্ষা। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি।

প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এ অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আবারও নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টের অধিনায়কের দায়িত্বও পান তিনি। এর পর ২০১৯ সালে আইসিসি কতৃক একই বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি।

এর পর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারও দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়কে পরেই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারও তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।

সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।

সাকিব ছাড়াও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন লিটন কুমার দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আসন্ন দুই মেগা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে অভিজ্ঞ সাকিবের কাঁধেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।