
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে নতুন করে ভয় দেখানোর জন্যে বানোয়াট মামলায় দুই সম্পাদককে সাজা দেওয়া হয়েছে। সম্পাদক, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম দলন আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে মিডিয়া তোষণ করে আর সরকারে গেলে গলা টিপে ধরে, এটাই তাদের পুরোনো চরিত্র।
বরেণ্য সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের নিপীড়নমূলক ধারা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত প্রতিকী অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিক নেতারা এসব মন্তব্য করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসাথে চলতে পারে না। সাইবার নিরাপত্তা আইনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সকল নিপীড়নমূলক ধারা বহাল রেখে ধোকাবাজির আশ্রয় নিয়েছে সরকার।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন গ্রীণ ওয়াচ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সহ সভাপতি বাছির জামাল, বিএফইউজের প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান, সাবেক সহকারী মহাসচিব কাজিম রেজা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান, ডিইউজের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, সাবেক দফতর সম্পাদক ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর, প্রবীণ সাংবাদিক, লেখক কবি এনায়েত রসুল, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য জিয়াউর রহমান মধু, ডিইউজের সবেক নেতা এস এম আলমগীর, আবদুল হালিম, জেসমিন জুই, সদস্য বোরহান উদ্দিন ফয়সাল, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল মান্নান, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হিরা, সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক একেএম মাহফুজুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল প্রমুখ। এছাড়া ডিইউজের সিনিয়র সদস্য মর্তুজা সাঈদ টিসু, গোলাম কিবরিয়া, আক্তারুজ্জামান রকি, মিয়া আবদুল হান্নান, তাজুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, তালুকদার বেলাল, রাসেল আহমেদসহ ঢাকা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের সাংবাদিকেরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এম আবদুল্লাহ বলেন, দু’জন বরেণ্য সম্পাদককে সাজার নামে রীতিমতো তামাশা করা হয়েছে, সাজা দেওয়ার জন্য ন্যুনতম গ্রাউন্ডও তৈরি করতে পারেনি সরকার। শুনানি কখন হয়েছে কেউ জানেনা। তিনি বলেন, যে বিচারক মামলার বাদিকে আদালতে অভ্যর্থনা জানান, পেছন পেছন গিয়ে বিদায় জানান তার কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা করাই দুরাশা। উচ্চ আদালতের বিচারকরা নিজেদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ দাবি করার সমালোচনা করেন তিনি। এম আবদুল্লাহ বলেন, এসব ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাহসী সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে সত্য বলা এবং লেখা থেকে বিরত রাখা যাবে না। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের আটটি ধারা বাতিল এবং চারটি ধারা সংশোধনের দাবি জানান বিএফইউজে সভাপতি।
মোস্তফা কামাল মজুমদার বলেন, কোন দেশ কতটুকু সভ্য তা নির্ভর করে সে দেশের গণমাধ্যমের চরিত্রের ওপর। মাহমুদূর রহমান এবং শফিক রেহমানকে সত্য, বলিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমীন রোকন বলেন, এই সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লাভ নেই, বরং ভোট ও লেখার অধিকার ফিরিয়ে আনতে সরকারকে বিদায় করতে হবে। এক দফার সংগ্রামে সামিল হতে হবে।
মুহাম্মদ বাকের হোসাইন বলেন, এই সরকারকে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিস্ট বললেও কম বলা হয়। এসব তাদের চরিত্রকে চিত্রিত করে না। তারা মজা পায়। তাই এদের বিদায় করতে হবে, আওয়ামী লীগকে জাতির জন্য অভিশাপ বলে আখ্যা দেন তিনি।
সৈয়দ আবদাল আহমদ বলেন, মাহমুদুর রহমান জাসাস অফিস কোথায় তা-ই জানেন না। অথচ জাসাস অফিসে মিটিংয়ের অভিযোগে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যে সময়ের ঘটনা বলা হচ্ছে তখন তিনি জেলে ছিলেন। অথচ বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে দুই সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
ইলিয়াস খান বলেন, আগে মানুষের ঘরে সম্পদ থাকতো, সেখানে ডাকাতি হতো। এখন মানুষ ব্যাংকে অর্থ রাখলে সেখান থেকে ডাকাতি হয়। মাহমুদুর রহমানকে দীর্ঘ সময় কারাভোগ করা সম্পাদক বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
যশোর নড়াইল সড়কের ছাতিয়ানতলা ট্রাকের চাপায় ভ্যানচালকের পা দ্বিখণ্ডিত
যশোর নড়াইল সড়কের ছাতিয়ানতলা বাজারে ট্রাকের চাপায় শুকুর আলী (৫০) নামে এক ভ্যানচালকের পা দাবিখন্ডিত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শুকুর আলীর বাড়ি যশোর শহরের ঝুমঝুমপুরে। মাতা ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন, তার ছেলে শুকুর আলী ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
বুধবার রাতে বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা বাজারে ভ্যান নিয়ে যায়। তখন যশোর নড়াইল সড়কের ওই বাজারে বেপরোয়াগতিতে চলা একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে তার কোমরের নিচে শরীর থেকে বাম পা বিছিন্ন হয়ে যায়। অপর পা’টি ভেঙ্গে ঝুলতে থাকে। স্থাণীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশংকাজনক। বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ।
যশোরে মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে মারধর নিহত ১ আহত ৪
যশোর সদরের গাইদগাছির পল্লীতে বাড়িতে ডাকাত পড়েছে মাইকে ঘোষণা দিয়ে,ঘোষণার পর গ্রামবাসীর হামলায় ১৭ মামলার দাগি আসামি মাসুদ রানা (৪০) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। ওই সময় আহত হয়েছেন আরো চারজন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের গাইদগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে গ্রামের মাইকে কে বা কারা ঘোষণা দেয় গাইদগাছি গ্রামের জুলফিকার গাজীর শ্বশুর বাড়িতে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। এই ঘোষণা শোনার পর গ্রামের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে সেখানে অবস্থান করা ৬-৭ জনকে বের করে মারধর করে। এতে মাসুদ রানা নামে একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। একই ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হন। আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, একদল যুবক গভীর রাতে গাইদগাছি গ্রামের একটি বাড়িতে বসে নেশাদ্রব্য গ্রহণ করছিলো। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আরেক দল যুবক তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে ৫ যুবক গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাসুদ রানা। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় আহত ৪ জনকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পুলিশ দাবি করে নিহত মাসুদ রানার
যশোর অফিস ।। 







































