বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাল রপ্তানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে মিয়ানমার

ভারতের পর এবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ মিয়ানমার। আগামী দেড় মাস এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির চাল ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারীদের সংগঠন মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ)। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মুম্বাইভিত্তিক একটি চাল রপ্তানিকারী সংস্থার স্বত্বাধিকারী বলেন, মিয়ানমার চালের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো খুব গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী নয়। কিন্তু এমন একসময়ে তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে, যখন বিশ্ববাজারে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে শুরু হয়েছে। তাই এ নিষেধজ্ঞা একটি বিপদ সংকেত ও এতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

মিয়ানমার বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে মিয়ানমার।

গত মাসে বাসমতি ব্যতীত অন্য সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর প্রভাবে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সরবরাহ কমেছে ১ কোটি টন। শতকরা হিসাবে এই ঘাটতির হার ২০ শতাংশ।

এদিকে, ভারত চাল রপ্তানি স্থগিতের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের দাম। দেশ দুটি চাল রপ্তানিতে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে উভয় দেশের চালের দাম টনপ্রতি পাঁচ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

চাল রপ্তানিতে এবার নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে মিয়ানমার

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

ভারতের পর এবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ মিয়ানমার। আগামী দেড় মাস এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির চাল ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারীদের সংগঠন মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন (এমআরএফ)। বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিয়ানমারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মুম্বাইভিত্তিক একটি চাল রপ্তানিকারী সংস্থার স্বত্বাধিকারী বলেন, মিয়ানমার চালের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারত ও থাইল্যান্ডের মতো খুব গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহকারী নয়। কিন্তু এমন একসময়ে তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে, যখন বিশ্ববাজারে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে শুরু হয়েছে। তাই এ নিষেধজ্ঞা একটি বিপদ সংকেত ও এতে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

মিয়ানমার বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ চাল রপ্তানিকারী দেশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে মিয়ানমার।

গত মাসে বাসমতি ব্যতীত অন্য সব চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। এর প্রভাবে চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে চালের সরবরাহ কমেছে ১ কোটি টন। শতকরা হিসাবে এই ঘাটতির হার ২০ শতাংশ।

এদিকে, ভারত চাল রপ্তানি স্থগিতের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চালের দাম। দেশ দুটি চাল রপ্তানিতে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে উভয় দেশের চালের দাম টনপ্রতি পাঁচ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।