শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট যশোরে

  • যশোর অফিস ।।
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩২৬
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক কলেজ পরিদর্শক বর্তমানে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বিথীকা শিকদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তদন্ত শেষে দুদক যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক আল আমিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, অমল কুমার বিশ্বাস ১৪তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে সিটি কলেজে যোগদান করেন। বিভিন্ন কলেজে চাকরি করে ২০০৯ সালের ২২ মার্চ যশোর শিক্ষাবোর্ডে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে যোগদান করেন। পরে ২০১০ সালের ১৭ জুন শিক্ষাবোর্ডে কলেজ পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এরপর অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বিথীকা শিকদারের সম্পদ বিবরণী চেয়ে দুদক  নোটিশ দেয়। সেই অনুযায়ী তারা ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। বিবরণীতে অমল কুমার বিশ্বাস ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ২১ লাখ ৭০ হাজার ৪১৪ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ টাকার সম্পদ এবং তার স্ত্রী বিথীকা শিকদার ৪ লাখ টাকার স্থাবর ও এক কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। অর্থাৎ দু’জনে দুদকে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৪ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন।
অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর দেয়া সম্পদের প্রাথমিক তদন্ত শেষে ব্যাপক গরমিল খুঁজে পায় দুদক। এরপর দুদক ২০১৯ সালে মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে অমল কুমারের ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৭ এবং স্ত্রীর সম্পদ মিলে ২ কোটি ২১ লাখ ২ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। সেই মোতাবেক তারা দুদকে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বলে মামলা উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, পারিবারিক খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ ও ছেলেমেয়েদের  লেখাপড়ার খরচ বাদে উভয়ের বৈধ নিট আয় ৭৬ লাখ ২২ হাজার ৪০২ টাকা পাওয়া গেছে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে। সই অনুযায়ী তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ২৮৫ টাকা।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দু’জন জামিনে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনপ্রিয়

যশোরে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলের দাবি, পুলিশের ভিন্ন মত

মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট যশোরে

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের সাবেক কলেজ পরিদর্শক বর্তমানে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বিথীকা শিকদারকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তদন্ত শেষে দুদক যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপরিচালক আল আমিন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, অমল কুমার বিশ্বাস ১৪তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে সিটি কলেজে যোগদান করেন। বিভিন্ন কলেজে চাকরি করে ২০০৯ সালের ২২ মার্চ যশোর শিক্ষাবোর্ডে উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে যোগদান করেন। পরে ২০১০ সালের ১৭ জুন শিক্ষাবোর্ডে কলেজ পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০১২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এরপর অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রী বিথীকা শিকদারের সম্পদ বিবরণী চেয়ে দুদক  নোটিশ দেয়। সেই অনুযায়ী তারা ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। বিবরণীতে অমল কুমার বিশ্বাস ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ২১ লাখ ৭০ হাজার ৪১৪ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ টাকার সম্পদ এবং তার স্ত্রী বিথীকা শিকদার ৪ লাখ টাকার স্থাবর ও এক কোটি ৬ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৪৫ হাজার ২৩০ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। অর্থাৎ দু’জনে দুদকে ১ কোটি ৮৮ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৪ টাকার সম্পদের হিসাব জমা দেন।
অমল কুমার বিশ্বাস ও তার স্ত্রীর দেয়া সম্পদের প্রাথমিক তদন্ত শেষে ব্যাপক গরমিল খুঁজে পায় দুদক। এরপর দুদক ২০১৯ সালে মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে অমল কুমারের ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৭ এবং স্ত্রীর সম্পদ মিলে ২ কোটি ২১ লাখ ২ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। সেই মোতাবেক তারা দুদকে ৩২ লাখ ৪১ হাজার ৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন বলে মামলা উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, পারিবারিক খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ ও ছেলেমেয়েদের  লেখাপড়ার খরচ বাদে উভয়ের বৈধ নিট আয় ৭৬ লাখ ২২ হাজার ৪০২ টাকা পাওয়া গেছে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে। সই অনুযায়ী তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ২৮৫ টাকা।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১), মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দু’জন জামিনে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।