
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না। ড. ইউনূস বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে মনে করছি।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের পক্ষে ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিদেশি নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতিদাতাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য বলা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে আমি স্বাক্ষর করব না।’
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
কেন স্বাক্ষর করবেন না, জানতে চাইলে এমরান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্বের ১৬০ জন যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত। আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটা বিচারিক হয়রানি।’
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে—এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এমন কথা বললেও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতি দিচ্ছেন। সেই বিবৃতিতে তারা স্বাক্ষর দিচ্ছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা এবং বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গত মাসে খোলা চিঠি দিয়েছেন ১৬০ জন বিশ্বনেতা।
ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি তাকে (ড. ইউনূস) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করায় আমরা উদ্বিগ্ন এবং এটি তাকে বিচারিকভাবে হেনস্থা করার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে আমাদের বিশ্বাস।
সরকারের আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৬১ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রয়েছেন। এমরান আহমেদ ভূঁইয়া ২০১৯ সালের ২১ জুলাই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পুননিয়োগ পান। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
ঢাকা ব্যুরো।। 







































