
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি, বিশেষ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের মামলা নিয়ে এক যৌথ প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। সূত্র: টিবিএস, প্রথম আলো।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্য ডানপন্থী, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও বামপন্থীসহ সাতটি দল এই প্রস্তাব এনেছে। ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এই প্রস্তাবের ওপর পার্লামেন্ট অধিবেশনের বিতর্কে অংশ নেন ছয় সদস্য।
তারা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি দেশে মানবাধিকার রক্ষা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার নীতি চর্চার সময় সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো বাংলাদেশে সরকার ও বিচার বিভাগের হয়রানি-নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে।বাংলাদেশে একটি এনজিও হিসেবে নিবন্ধন বাতিলসহ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে হয়রানি ও অপরাধীকরণের সম্মুখীন হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানবাধিকার সংগঠন, বিশেষ করে অধিকারকে ক্রমাগত টার্গেট করার জন্য নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তারা জোর দিয়ে আরো বলে, বাংলাদেশের অবিলম্বে এনজিও’র নিপীড়ন বন্ধ করে এবং সংগঠনের স্বাধীনতাসহ মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা নিয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখা উচিত।
অধিকারের সদস্যরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা নজরদারি ও ভয় দেখানোর অসংখ্য ঘটনা রিপোর্ট করেছেন। ২০১৩ সালে অধিকার-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এএসএম নাসিরউদ্দিন এলানকে পুলিশ নির্বিচারে কয়েক সপ্তাহ আটক করে রেখেছিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, তারা এখনও বিচার বিভাগের হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে। মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে।
অধিকার এবং এর কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা এবং সংগঠনটি যাতে তাদের নিবন্ধন পুনরায় চালু করতে এবং বিনা বাধায় কাজ শুরু করতে পারে তা নিশ্চিতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।
বলপূর্বক গুমের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা হয়েছে এ প্রস্তাবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
[প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে বলপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমাপ্তি ঘটে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। 







































