মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এশিয়া কাপ ক্রিকেট বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৫ রান

এশিয়া কাপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। সুপার ফোর পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশেরও। আজ শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করছে সাকিববাহিনী। সংগ্রহ করেছে ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করেছে। ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ২৬৬ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে ৫৯ রানে ছিল না চারটি উইকেট। আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ, শঙ্কা ছিল তেমনই। কিন্তু সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয় দলকে বিপদ থেকে বাঁচালেন।
তাদের শতরানের জুটি আর শেষদিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে আট উইকেটে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বের নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুই বলে শুণ্য রানে মোহাম্মদ শামির ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি।
পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন দারুণ শুরু করা তানজিদ হাসান তামিমও। তার ব্যাটে বল লেগে ভেঙে গেছে স্টাম্প। ১২ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন তরুণ এই ওপেনার।
এনামুল হক বিজয় দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুরকে চার্জ করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন বিজয়, ক্যাচটি সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক। ১১ বলে চার রানে থামে বিজয়ের প্রত্যাবর্তন ইনিংস।
একের পর এক উইকেট পড়ছে। ধস থামাতে প্রমোশন দিয়ে পাঁচ নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ দুইবার জীবন পান। তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৫৯ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। দু’জন মিলে গড়লেন শতরানের জুটি।
চার বছর পর সাকিবকে হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরি। তার ইনিংসটা বলতে গেলে ছিল একদম নিখুঁত। কিন্তু ৩৩ ওভারের পর পানি পানের বিরতি যেন অভিশাপ হয়ে এলো। বিরতির পর মনোসংযোগে চিড় ধরলো, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব। ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছয়টি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১১৫ বলে ১০১ রানের।
হৃদয় নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম আর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।
তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ এই ব্যাটার। মোহাম্মদ শামিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লিগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে তিনি পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কা।
শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৪৫ বলে ছয়টি চার আর এক ছক্কায় ৪৪ আর শেখ মেহেদির ২৩ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবও আট বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন হার না মানা ১৪।
ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। ৩২ রানে দু’টি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।

জনপ্রিয়

চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপির এমপি প্রার্থী ড. জালাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল

এশিয়া কাপ ক্রিকেট বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৫ রান

প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এশিয়া কাপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারত। সুপার ফোর পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশেরও। আজ শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করছে সাকিববাহিনী। সংগ্রহ করেছে ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করেছে। ভারতকে জিততে হলে করতে হবে ২৬৬ রান।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে ৫৯ রানে ছিল না চারটি উইকেট। আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অল্পতেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ, শঙ্কা ছিল তেমনই। কিন্তু সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয় দলকে বিপদ থেকে বাঁচালেন।
তাদের শতরানের জুটি আর শেষদিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে আট উইকেটে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বের নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে সাকিবদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুই বলে শুণ্য রানে মোহাম্মদ শামির ডেলিভারিতে বোল্ড হন তিনি।
পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন দারুণ শুরু করা তানজিদ হাসান তামিমও। তার ব্যাটে বল লেগে ভেঙে গেছে স্টাম্প। ১২ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন তরুণ এই ওপেনার।
এনামুল হক বিজয় দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতীয় পেসার শার্দুল ঠাকুরকে চার্জ করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন বিজয়, ক্যাচটি সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন উইকেটরক্ষক। ১১ বলে চার রানে থামে বিজয়ের প্রত্যাবর্তন ইনিংস।
একের পর এক উইকেট পড়ছে। ধস থামাতে প্রমোশন দিয়ে পাঁচ নম্বরে পাঠানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। মিরাজ দুইবার জীবন পান। তারপরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ১৩ করে অক্ষর প্যাটেলের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ৫৯ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সেখান থেকে সাকিব আল হাসান আর তাওহিদ হৃদয়ের প্রতিরোধ। দু’জন মিলে গড়লেন শতরানের জুটি।
চার বছর পর সাকিবকে হাতছানি দিচ্ছিল সেঞ্চুরি। তার ইনিংসটা বলতে গেলে ছিল একদম নিখুঁত। কিন্তু ৩৩ ওভারের পর পানি পানের বিরতি যেন অভিশাপ হয়ে এলো। বিরতির পর মনোসংযোগে চিড় ধরলো, প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন সাকিব। ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছয়টি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১১৫ বলে ১০১ রানের।
হৃদয় নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম আর টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি।
তবে ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তরুণ এই ব্যাটার। মোহাম্মদ শামিকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লিগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন হৃদয়। ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে তিনি পাঁচটি চার ও দু’টি ছক্কা।
শেষদিকে নাসুম আহমেদের ৪৫ বলে ছয়টি চার আর এক ছক্কায় ৪৪ আর শেখ মেহেদির ২৩ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৯ রানে ভর করে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিম সাকিবও আট বলে একটি করে চার-ছক্কায় করেন হার না মানা ১৪।
ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। ৩২ রানে দু’টি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।