
ডায়াবেটিস একটি ক্রনিক রোগ ৷ টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস শরীরে মারাত্মক তুলকালামের সৃষ্টি করে থাকে ৷ ভারতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেশি ৷ টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ি খারাপ খাবার, অত্যন্ত অসংযত লাইফস্টাইল ৷ অতিরিক্ত মাত্রায় মেদ, হাই কোলেস্টেরল, পরিবারের কারোর ডায়াবেটিসের ইতিহাস বা বংশের ডায়াবেটিসের ইতিহাস ৷ এই সমস্ত ঘটনাটিগুলির থেকে সাবধান ৷ যে কোনও বয়সেই শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধতে পারে ৷ ডায়াবেটিস শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রিত করা যেতে পারে ৷
ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রিত না করা যায় সেক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়তেই থাকে ৷ কেননা ব্লাডসুগার বাড়লে নানান ধরনের ঝুঁকি বাড়তেই থাকে ৷ হার্ট, কিডনি, ফুসফুস ও চোখ এক্কেবারে শেষ করে দেয় ৷ লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে ডায়াবেটিসে লাগাম পরানো সম্ভব ৷ এইমসের প্রাক্তন পরামর্শদাতা, সাওল হার্ট সেন্টারের ডিরেক্টর তথা প্রতিষ্ঠাতা বিমল ঝাঞ্ঝোর জানিয়েছেন ভারতে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ কিন্তু কী করে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রিত হবে এই নিয়েই বেশ খানিকটা কনিফিউজ থাকেন সাধারণ মানুষ ৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন খাবার দাবারের বিষয় নিয়ন্ত্রিত করলেই ডায়াবেটিসে বিশেষ ফল পাওয়া সম্ভব ৷ ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি পদ্ধতি রয়েছে ৷ সেই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করলেই আরও কোনও কিছুর প্রয়োজন হবেনা ৷ সহজেই ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রিত থাকবে ৷
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার দাবারই ডায়াবেটিসের বাড় বাড়ন্ত তৈরি করে ৷ শর্করার প্রধানত ২ ধরনের হয়ে থাকে একটি সাধারণ কার্বোহাইট্রেড, কম্পলেক্স বা জটিল কার্বোহাইট্রেড ৷ সাধারণ শর্করার সেবনে চড়চড় করে ব্লাডসুগার বাড়ে তাই এই ধরনের খাবার একদমই খাওয়া উচিৎ নয় ৷ জটিল শর্করা সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে ৷ প্রশ্ন হল কীভাবে জানা বা বুঝতে পারা যাবে জটিল কার্বো হাইড্রেড জাতীয় খাবার চেনার উপায় ৷ ৷যে খাবার মিষ্টি সমৃদ্ধ সেটি সিম্পল বা সাধারণ শর্করা জাতীয় খাবার ৷ যেই খাবারে মিষ্টি জাতীয় উপাদান নেই সেই খাবার জটিল শর্করা সমৃদ্ধ খাবার ৷সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের মিষ্টি খাবার থেকে বাঁচতে হবে ৷
ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রিত করতে চান সেক্ষেত্রে ব্লাডসুগারের রোগীদের ব্যালান্স করতে হয় খাবার দাবারের ব্যাপারে ভরপেট না খেয়ে, অল্প অল্প বারেবারে খেতে হবে ৷ মনে রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন পেট না খালি থাকে ৷ দিনে কমপক্ষে চারবার খাবার খেতে হবে খালি পেটে একদমই থাকা চলবেনা ৷ ৷ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষেরা খাবার পরে একটুখানি গুড় সেবন করুন এতে শর্করা ভেঙে যাবে ৷ যে যে খাবারে খুব ক্যালোরি আছে বা লো ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার খাওয়া উচিৎ ৷ লো ক্যালোরি বা কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার ব্লাডসুগারের স্তর নির্ম্যাল থাকে ৷ আপেল, পেয়ারা, পেঁপে, বেদানা, তরমুজ ব্লাডসুগারের জন্য খাওয়া যেতে পারে ৷ এই ফলে শর্করার মাত্রা কম থাকে তাই ডায়াবেটিসে এই ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি ৷
ফাইবার যুক্ত খাবার ওজন কমাতে বা ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভাবে ভূমিকা গ্রহণ করে ৷ ফাইবার গ্লুকোজকে ধীর গতি সম্পন্ন করে দেয় ৷ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রতিটি খাবারে কম করে ৮ গ্রাম করে ফাইবার থাকা উচিৎ, বিভিন্ন প্রকার ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন ফল, স্টার্চহীন খাবার ৷ শাকপাতা, বিভিন্ন ধরনের ফাইবার যুক্ত ফল, ফুলকপি, ব্রোকলি, ছোলা, ডাল, সাবান, গম, পাস্তা, পাউরুটি, সবজি, ইত্যাদি খেতে হবে ৷ উপরোক্ত বিষয়গুলি ঘরোয়া টোটকা চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের বিকল্প নয় ৷ ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷
লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। 






































