সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, দুই জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

হেরোইন, ইয়বা ও ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার অতিরিক্ত দয়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, শহরের নাজির শংকরুর জুলফিকারের চাতালের মোড় এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন ও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামের মাজেদুল হক পাতুর ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানা পুলিশ রেজাউলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় রেজাউলকে আটক ও তার দেহ তল্লাশি করে ১২৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই এজাজ মাহমুদ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামরা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এসআই সুকুমার কুন্ডু আসামি রেজাউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আসামি রেজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদেন্ডর আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল জামিনে মুক্তিপেয়ে পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর শার্শা থানা পুলিশ উলাশী রামপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আলমগীলকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সৈয়দ বকতিয়ার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর পলাতক রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ জানতে পারে মোটেল পর্যটনের সামনে একজন ফেনসিডিল নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশ তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যেয়ে সুমনকে আটক ও তার কাছ থেকে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুমন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আছে। #
শহিদ জয়
হেরোইন, ইয়বা ও ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার অতিরিক্ত দয়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, শহরের নাজির শংকরুর জুলফিকারের চাতালের মোড় এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন ও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামের মাজেদুল হক পাতুর ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানা পুলিশ রেজাউলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় রেজাউলকে আটক ও তার দেহ তল্লাশি করে ১২৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই এজাজ মাহমুদ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামরা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এসআই সুকুমার কুন্ডু আসামি রেজাউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আসামি রেজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদেন্ডর আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল জামিনে মুক্তিপেয়ে পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর শার্শা থানা পুলিশ উলাশী রামপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আলমগীলকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সৈয়দ বকতিয়ার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর পলাতক রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ জানতে পারে মোটেল পর্যটনের সামনে একজন ফেনসিডিল নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশ তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যেয়ে সুমনকে আটক ও তার কাছ থেকে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুমন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আছে। #
জনপ্রিয়

চৌগাছায় রান্নাঘরে কাজ করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী আহত

যশোরে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, দুই জনের ১০ বছর কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হেরোইন, ইয়বা ও ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার অতিরিক্ত দয়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, শহরের নাজির শংকরুর জুলফিকারের চাতালের মোড় এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন ও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামের মাজেদুল হক পাতুর ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানা পুলিশ রেজাউলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় রেজাউলকে আটক ও তার দেহ তল্লাশি করে ১২৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই এজাজ মাহমুদ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামরা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এসআই সুকুমার কুন্ডু আসামি রেজাউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আসামি রেজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদেন্ডর আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল জামিনে মুক্তিপেয়ে পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর শার্শা থানা পুলিশ উলাশী রামপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আলমগীলকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সৈয়দ বকতিয়ার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর পলাতক রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ জানতে পারে মোটেল পর্যটনের সামনে একজন ফেনসিডিল নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশ তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যেয়ে সুমনকে আটক ও তার কাছ থেকে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুমন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আছে। #
শহিদ জয়
হেরোইন, ইয়বা ও ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন ও দুই জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। বুধবার অতিরিক্ত দয়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস আলাদা রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, যশোর সদরের বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, শহরের নাজির শংকরুর জুলফিকারের চাতালের মোড় এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন ও নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার গোপালপুর গ্রামের মাজেদুল হক পাতুর ছেলে আলমগীর হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কোতয়ালি থানা পুলিশ রেজাউলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় রেজাউলকে আটক ও তার দেহ তল্লাশি করে ১২৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই এজাজ মাহমুদ বাদী হয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামরা করেন। মামলার তদন্ত শেষে এসআই সুকুমার কুন্ডু আসামি রেজাউলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আসামি রেজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদেন্ডর আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল জামিনে মুক্তিপেয়ে পলাতক রয়েছে।
অপর দিকে, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর শার্শা থানা পুলিশ উলাশী রামপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে আলমগীলকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই সৈয়দ বকতিয়ার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত আলমগীর পলাতক রয়েছে।
এছাড়া, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ জানতে পারে মোটেল পর্যটনের সামনে একজন ফেনসিডিল নিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশ তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যেয়ে সুমনকে আটক ও তার কাছ থেকে ১৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চোরাচালান দমন আইনে মামলা করেন এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সুমন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আছে। #