বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বে প্রতিবছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হূদেরাগে মারা যান

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য—‘হূদয়ের যত্নে হূদয়বান হই’। গতকাল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্বে প্রতি বছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হূদেরাগ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিউরে মারা যান। অথচ আমরা জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনলে এই মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

হূদেরাগের কারণ হিসেবে চিকিত্সকরা বলছেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে হূদেরাগে। যার অন্যতম কারণ তামাক। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করছে; যা হূদেরাগ পরিস্থিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হূদেরাগে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হূদেরাগে মারা যান। যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি (জিবিডি) ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো বিভিন্ন ধরনের মরণব্যাধি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা. ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক দুশ্চিন্তা পরিহার করাসহ কিছু পরিবর্তন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুবই জরুরি।

বিশ্ব হার্ট দিবসে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

জনপ্রিয়

টাঙ্গাইলের শাড়ি পরে বড়দিন উদযাপন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার

বিশ্বে প্রতিবছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হূদেরাগে মারা যান

প্রকাশের সময় : ১০:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব হার্ট দিবস। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য—‘হূদয়ের যত্নে হূদয়বান হই’। গতকাল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্বে প্রতি বছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হূদেরাগ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিউরে মারা যান। অথচ আমরা জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনলে এই মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

হূদেরাগের কারণ হিসেবে চিকিত্সকরা বলছেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে হূদেরাগে। যার অন্যতম কারণ তামাক। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করছে; যা হূদেরাগ পরিস্থিতিকে আরো উদ্বেগজনক করে তুলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি বছর বিশ্বে ১৯ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারজনিত হূদেরাগে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হূদেরাগে মারা যান। যার ২৪ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি (জিবিডি) ২০১৯-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণের কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো বিভিন্ন ধরনের মরণব্যাধি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। তারা বলছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা. ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক দুশ্চিন্তা পরিহার করাসহ কিছু পরিবর্তন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য খুবই জরুরি।

বিশ্ব হার্ট দিবসে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।