
বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ছিল নানা আলোচনা ও সমালোচনা। তবে বাংলাদেশ যে বড় মঞ্চে পিছিয়ে নেই তা প্রমাণ করে দিয়েছে শনিবার আফগানদের হারিয়ে। ব্যাটিং ও বোলিং দু’টি বিভাগেই ছিল মুন্সিয়ানার ছাপ। এর ফলে সাকিব বাহিনীদের জয় ছয় উইকেটে।
শনিবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ ওভার দুই বলে ১৫৬ রান তুলে অলআউট হয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশ জবাব দিতে নেমে ৩৪ ওভার চার বলে চারটি উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে। অর্ধশতক রান পেয়েছে পেয়েছেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিলো হতাশার। আফগানিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার রান করছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষাও ছিল আশাহীন। সবকিছুই বদলে যায় সাকিবের এনে দেওয়া প্রথম উইকেট দখলের পর, ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করেন তিনি। ২৫ বলে ২২ রান করে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দেন আফগান ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটটিও দখল করেন সাকিব। রহমত শাহ সিলি মিড অফে দাঁড়ানো লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ১৮ রান করে। শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা আফগান অধিনায়ক হাশমাতউল্লাহ শহীদিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৮ রান করতে তিনি খেলেন ৩৮ বল। ম্যাচের রং বদলের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রাও হয়ে ওঠে উজ্জীবিত। তৃতীয় ব্যাটারকে ফেরানোর চার বল পর আবারও সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এবার ব্রেক থ্রু এনে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানিস্তানের হয়ে ভীতি ছড়ানো রহমানউল্লাহ গুরবাজ তার বলে এগিয়ে এসে তুলে মারতে যান কাভারের ওপর দিয়ে। কিন্তু বল কিছুটা স্লো হওয়ায় ডিপ কাভারে ধরা পড়েন গুরবাজ।
আফগানিস্তানের পরের ব্যাটাররা থেকেছেন কেবল আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ আট উইকেট তারা হারায় ৪৬ রানে। ১১২ রানে দুই উইকেট থেকে গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে এসে। সাকিব পরে উইকেট পান আরও একটি। মেহেদী হাসান মিরাজও তার সমান উইকেট নেন, নয় ওভারে দেন ২৫ রান। পেসারদের চার উইকেটের মধ্যে শরিফুল দুই আর তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুতেও হতাশা। তানজিদ হাসান তামিম রান আউট হয়েছেন খুবই দৃষ্টিকটুভাবে। পরে লিটন দাস যখন ফিরলেন, একটু ভয় ভয়ও হয়তো হচ্ছিল সবার। কিন্তু মিরাজ-শান্ত জুটি সব ভয় ভেঙে দেন। মিরাজ এক এক সময় এক এক জায়গায় অবলীলায় ব্যাটিং করছেন, আবার বোলিংও করছেন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির পর মিরাজ আউট হয়েছেন নাভিন উল হকের ওভারে রশিদ খানের লাফিয়ে উঠে নেওয়া দুর্দান্ত এক ক্যাচে। পাঁচটি চারে ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তার বদলে সাকিব এসে অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টেকেননি। ১৯ বলে দু’টি চারে ১৪ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর অবশ্য বিপদ ঘটেনি আর। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন শান্ত। ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নিয়ে ৮৩ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
স্পোর্টস ডেস্ক।। 







































