মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসরায়েল

সম্প্রতি গাজা স্ট্রিপে যুদ্ধবিরতি চেয়ে একটি মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। তারই জেরে তার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত গুতেরেসের সঙ্গে তারা কোনো বৈঠক করবেন না। খবর: ডয়চে ভেলে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, এই মুহূর্তে এই সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত। গাজা স্ট্রিপে আমরা যা দেখছি, তা থেকে পরিষ্কার যে সেখানে আন্তর্জাতিক আইন মানা হচ্ছে না। এখানেই শেষ করেননি গুতেরেস। বলেছেন, ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে কার্যত পরাধীন হয়ে আছেন। হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে, তা একদিনে তৈরি হয়নি। এই হামাসকে অবশ্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপ সকলেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।

গুতেরেসের এই মন্তব্যের পর তার কড়া সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান বলেছেন, শতাধিক মানুষকে যারা খুন করেছে, পুরুষ, নারী, শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি, সেই হামাসকে সমর্থন করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের প্রধান থাকার আর কোনো অধিকার তার নেই।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এবিষয়ে মুখ খুলেছেন। এলি কোহেন বলেছেন, ৭ অক্টোবর যারা নির্বিচারে হত্যা করল গুতেরেস কার্যত তাদের সমর্থন করেছেন। তার কথায়, গুতেরেস আপনি কোন বিশ্বে থাকেন জানি না, তবে এটা আমাদের বিশ্ব নয়, এটুকু বলতে পারি। জাতিসংঘের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি অনুষ্ঠান চত্বরে আক্রমণ চালায় হামাস। প্রায় ২২০ জন বেসামরিক মানুষকে পণবন্দি করে তারা। তাদের মাত্র সামান্য কয়েকজনকে সম্প্রতি ছেড়েছে তারা। বাকিরা এখনো বন্দি। পাশাপাশি বহু মানুষকে হত্যাও করে তারা। তারই জেরে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজা স্ট্রিপকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে ইসরায়েল। সেখানেও প্রচুর বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে সম্পূর্ণ শেষ না করা পর্যন্ত তাদের সংঘাত চলবে।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে অনেকেই। সাধারণ মানুষের হত্যা নিয়ে সরব হয়েছে বহু দেশ। গুতেরেসও সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত।

জনপ্রিয়

রজব মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

জাতিসংঘ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসরায়েল

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

সম্প্রতি গাজা স্ট্রিপে যুদ্ধবিরতি চেয়ে একটি মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস। তারই জেরে তার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত গুতেরেসের সঙ্গে তারা কোনো বৈঠক করবেন না। খবর: ডয়চে ভেলে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, এই মুহূর্তে এই সংঘাত বন্ধ হওয়া উচিত। গাজা স্ট্রিপে আমরা যা দেখছি, তা থেকে পরিষ্কার যে সেখানে আন্তর্জাতিক আইন মানা হচ্ছে না। এখানেই শেষ করেননি গুতেরেস। বলেছেন, ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে কার্যত পরাধীন হয়ে আছেন। হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে, তা একদিনে তৈরি হয়নি। এই হামাসকে অবশ্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপ সকলেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।

গুতেরেসের এই মন্তব্যের পর তার কড়া সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান বলেছেন, শতাধিক মানুষকে যারা খুন করেছে, পুরুষ, নারী, শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি, সেই হামাসকে সমর্থন করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের প্রধান থাকার আর কোনো অধিকার তার নেই।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এবিষয়ে মুখ খুলেছেন। এলি কোহেন বলেছেন, ৭ অক্টোবর যারা নির্বিচারে হত্যা করল গুতেরেস কার্যত তাদের সমর্থন করেছেন। তার কথায়, গুতেরেস আপনি কোন বিশ্বে থাকেন জানি না, তবে এটা আমাদের বিশ্ব নয়, এটুকু বলতে পারি। জাতিসংঘের প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি অনুষ্ঠান চত্বরে আক্রমণ চালায় হামাস। প্রায় ২২০ জন বেসামরিক মানুষকে পণবন্দি করে তারা। তাদের মাত্র সামান্য কয়েকজনকে সম্প্রতি ছেড়েছে তারা। বাকিরা এখনো বন্দি। পাশাপাশি বহু মানুষকে হত্যাও করে তারা। তারই জেরে পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজা স্ট্রিপকে কার্যত ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেছে ইসরায়েল। সেখানেও প্রচুর বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে সম্পূর্ণ শেষ না করা পর্যন্ত তাদের সংঘাত চলবে।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে অনেকেই। সাধারণ মানুষের হত্যা নিয়ে সরব হয়েছে বহু দেশ। গুতেরেসও সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছিলেন বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত।