মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ হারের পর জয় ইংল্যান্ডের

বেন স্টোকসের ইনিংসটা ছিল ইংল্যান্ডকে বাঁচানোর। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯২ রানে তারা হারিয়ে বসে ছয়টি উইকেট। ধারণা করা হচ্ছিল দলগত ২৫০ রান হবে না। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে বেন স্টোকস করলেন সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে নয় উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় পূঁজি পায় ইংলিশরা। জবাবে ৩৭ ওভার দুই বলে ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ড জয় পায় ১৬০ রানে।
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো ইংল্যান্ড। অল ইউরোপিয়ান ব্যাটেলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংলিশরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ওভারে আউট হন ম্যাক্স ডি’অড। এর ঠিক পরের ওভারেই শূন্য রান ফেরেন অ্যাকারম্যান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বারেসি ও এঙ্গেলব্রেখট ৫৪ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙে মঈন আলীর ১৮তম ওভারে। ক্রিস ওকসের দারুণ থ্রোতে মঈন স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে রানআউটের শিকার হন বারেসি।
এঙ্গেলব্রেখটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রান করে উইলির বলে আউট হন তিনি। ছয়ে নেমে বাস ডি লিড ১০ রান করে আউট হলে ১০০ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও নিধামানুরু ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এডওয়ার্ডসকে মঈন আলী আউট করলে আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ডাচদের ইনিংস।
শেষদিকে আদিল রশিদ ও মঈন আলির ঘূর্ণিতে ১৭৯ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।
নিদামানুরু সর্বোচ্চ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংলিশদের হয়ে মঈন আলি ও আদিল রশিদ নেন তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে পুনেতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। দলীয় ৪৮ রানে জনি বেয়ারস্টো ১৭ বলে ১৫ রানে ফিরলেও একটা সময় এক উইকেটে ১৩৩ রান ছিল ইংল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে।
সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে ডাচরা। ৭৪ বলে ৮৭ করে ওপেনার ডেভিড মালান রানআউটের ফাঁদে পড়ার পর দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংলিশরা।
১৯২ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন স্টোকস। সপ্তম উইকেটে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন এই অলরাউন্ডার।
৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। ৮৪ বলে তার ১০৮ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি করে চার ও ছক্কার মার।

জনপ্রিয়

১০ দলীয় সমঝোতায় সিরাজগঞ্জের তিন আসনে এনসিপির প্রার্থিতা প্রত্যাহার

বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচ হারের পর জয় ইংল্যান্ডের

প্রকাশের সময় : ১১:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

বেন স্টোকসের ইনিংসটা ছিল ইংল্যান্ডকে বাঁচানোর। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯২ রানে তারা হারিয়ে বসে ছয়টি উইকেট। ধারণা করা হচ্ছিল দলগত ২৫০ রান হবে না। এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে বেন স্টোকস করলেন সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে ভর করে নয় উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় পূঁজি পায় ইংলিশরা। জবাবে ৩৭ ওভার দুই বলে ১৭৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ড জয় পায় ১৬০ রানে।
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো ইংল্যান্ড। অল ইউরোপিয়ান ব্যাটেলে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংলিশরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পঞ্চম ওভারে আউট হন ম্যাক্স ডি’অড। এর ঠিক পরের ওভারেই শূন্য রান ফেরেন অ্যাকারম্যান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বারেসি ও এঙ্গেলব্রেখট ৫৪ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন। কিন্তু তাদের জুটি ভাঙে মঈন আলীর ১৮তম ওভারে। ক্রিস ওকসের দারুণ থ্রোতে মঈন স্ট্যাম্প ভেঙে দিলে রানআউটের শিকার হন বারেসি।
এঙ্গেলব্রেখটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩ রান করে উইলির বলে আউট হন তিনি। ছয়ে নেমে বাস ডি লিড ১০ রান করে আউট হলে ১০০ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও নিধামানুরু ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এডওয়ার্ডসকে মঈন আলী আউট করলে আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ডাচদের ইনিংস।
শেষদিকে আদিল রশিদ ও মঈন আলির ঘূর্ণিতে ১৭৯ রানেই অলআউট হয় ডাচরা।
নিদামানুরু সর্বোচ্চ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংলিশদের হয়ে মঈন আলি ও আদিল রশিদ নেন তিনটি করে উইকেট নেন।
এর আগে পুনেতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। দলীয় ৪৮ রানে জনি বেয়ারস্টো ১৭ বলে ১৫ রানে ফিরলেও একটা সময় এক উইকেটে ১৩৩ রান ছিল ইংল্যান্ডের স্কোর বোর্ডে।
সেখান থেকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে ডাচরা। ৭৪ বলে ৮৭ করে ওপেনার ডেভিড মালান রানআউটের ফাঁদে পড়ার পর দ্রুত আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংলিশরা।
১৯২ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন স্টোকস। সপ্তম উইকেটে ক্রিস ওকসকে নিয়ে ৮১ বলে ১২৯ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন এই অলরাউন্ডার।
৪৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫১ রান করেন ওকস। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন স্টোকস। ৮৪ বলে তার ১০৮ রানের ইনিংসে ছিল ছয়টি করে চার ও ছক্কার মার।