
বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানির জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে। এটি করা গেলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, শুধু রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরও অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তত বেশি রপ্তানি করা যাবে। সার্বিক বাণিজ্যের কলেবর ততই বাড়বে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশ সমৃদ্ধি লাভ করবে। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই, হরতাল-অবরোধ চাই না। সবার কাছে আমরা এই বার্তাটা পৌঁছে দিতে চাই।’
মাহবুবুল আলম বলেন, হরতাল-অবরোধের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৭-১৮ হাজার টাকার গাড়ি ভাড়া এখন ৩২ থেকে ৩৪ হাজার টাকা হয়েছে। এই খরচটি কারখানার ওপর আসছে। কারখানার ওপর মানে একজন উদ্যোক্তার ওপর আসছে। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, হরতাল-অবরোধে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। আগুন-ভাঙচুরের সময় বিদেশিরা বিনিয়োগ করবে না। তারা নতুন করে অর্ডার দেবে না।
অনুষ্ঠানে রপ্তানি ট্রফি অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হলো রিফাত গার্মেন্টস, স্নোটেক্স আউটওয়্যার, ফ্লামিংগো ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইলস, হা-মীম ডেনিম, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, নোমান টেরিটাওয়েল মিলস, ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স, আকিজ জুট মিলস, পিকার্ড বাংলাদেশ, বে ফুটওয়্যার, ইনডিগো করপোরেশন, প্রাণ ডেইরি লি., মেসার্স রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, ডিউরেবল প্লাস্টিক, বেঙ্গল প্লাস্টিক, শাইনপুকুর সিরামিকস, মেসার্স মেঘনা বাংলাদেশ, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেরিন সেফটি সিস্টেম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিনস, পদ্মা স্পিনিং অ্যান্ড কম্পোজিট, মনট্রিমস, মেসার্স এন আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মীর টেলিকম ও পাইওনিয়ার নিটওয়ার্স (বিডি) ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ
ঢাকা ব্যুরো।। 







































