বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোনালদোর বিপক্ষে লড়তে মুখিয়ে মেসি

দেড় যুগের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে অন্যরকম এক ছুটি কাটালেন লিওনেল মেসি। ব্যস্ততা নেই ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার। টানা দেড় মাস মাঠের ফুটবল থেকে বাইরে রয়েছেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ী। লম্বা বিরতিতে ফুরফুরে মেজাজে মেসি, এখন মাঠের লড়াই ফেরার অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা ফুরাচ্ছে দিন দশের পর।

প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে সৌদি সফরে যাবে মেসির ইন্টার মায়ামি। সেখানে তাদের দেখা হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসর আর নেইমারের আল হিলালের সঙ্গে। সৌদি আরবের দুই নামী দলের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছেন মেসি। বলেছেন, ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপ-এ মাঠে নামতে তর সইছে না তার।

সৌদি প্রো লিগে চলেছে মধ্য বিরতি। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নতুন মৌসুম। নতুন মৌসুমের আগে ২০ জানুয়ারি এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিতে শুরু হবে ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুম পর্ব। সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ নভেম্বরের পর, সেদিনই প্রথম মাঠে নামবেন মেসি। এফসি ডালাসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের পর সৌদি আরব যাবে মায়ামি।

সেখানে তিন দল নিয়ে রিয়াদ সিজন কাপ নামে হবে একটি টুর্নামেন্ট। ২৯ জুন রোনালদোর আল নাসরের বিপক্ষে মাঠে নামার পর ১ ফেব্রুয়ারি মায়ামি খেলবে নেইমারের আল হিলালের বিপক্ষে। এর মধ্যে মেসি-রোনালদো, মেসি-নেইমারের লড়াই দেখতে দর্শকদের উদ্দীপনার কমতি নেই

তবে মায়ামি-নাসরের ম্যাচ খেলতে বেশ আগ্রহ দর্শকদের। নেইমারের ইনজুরির কারণে তুলনামূলক আলোচনায় কম মায়ামি-আল হিলার ম্যাচ। দর্শকদের উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মেসি। রিয়াদ সিজন কাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সেখানে তিন দলের এই প্রতিযোগিতাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসি লিখেছেন, ‘ইন্টার মায়ামির হয়ে রিয়াদ সিজন কাপের অংশ হতে তর সইছে না, যেখানে এক ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপে সৌদির শীর্ষ ক্লাবগুলোর মুখোমুখি হতে হবে।’

গত বছরের জানুয়ারিতেও পিএসজির হয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। রিয়াদে সৌদি ক্লাবগুলোর ফুটবলারদের নিয়ে গড়া অল স্টারসকে নেতৃত্ব দেয় রোনালদো। সে ম্যাচে ৫-৪ গোলে জয় পায় মেসির দল। সেদিনই সর্বশেষ মুখোমুখি হন মেসি-রোনালদো।

এ পর্যন্ত মেসি-রোনালদো ১৩টি ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করে নেন। দুজন এ পর্যন্ত একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন ৩৫ ম্যাচ। মেসির ১৬ জয়ের বিপরীতে রোনালদো জিতেছে ১০টি। মেসি গোল করেছেন ২১টি, সহায়তা আছে আরও ১২ গোলে। আর রোনালদো গোলের পাশাপাশি ২০টি, সহায়তা করেন ১টি।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

রোনালদোর বিপক্ষে লড়তে মুখিয়ে মেসি

প্রকাশের সময় : ০১:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

দেড় যুগের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে অন্যরকম এক ছুটি কাটালেন লিওনেল মেসি। ব্যস্ততা নেই ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনার। টানা দেড় মাস মাঠের ফুটবল থেকে বাইরে রয়েছেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ী। লম্বা বিরতিতে ফুরফুরে মেজাজে মেসি, এখন মাঠের লড়াই ফেরার অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা ফুরাচ্ছে দিন দশের পর।

প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে সৌদি সফরে যাবে মেসির ইন্টার মায়ামি। সেখানে তাদের দেখা হবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসর আর নেইমারের আল হিলালের সঙ্গে। সৌদি আরবের দুই নামী দলের বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছেন মেসি। বলেছেন, ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপ-এ মাঠে নামতে তর সইছে না তার।

সৌদি প্রো লিগে চলেছে মধ্য বিরতি। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নতুন মৌসুম। নতুন মৌসুমের আগে ২০ জানুয়ারি এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিতে শুরু হবে ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুম পর্ব। সবকিছু ঠিক থাকলে ২১ নভেম্বরের পর, সেদিনই প্রথম মাঠে নামবেন মেসি। এফসি ডালাসের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের পর সৌদি আরব যাবে মায়ামি।

সেখানে তিন দল নিয়ে রিয়াদ সিজন কাপ নামে হবে একটি টুর্নামেন্ট। ২৯ জুন রোনালদোর আল নাসরের বিপক্ষে মাঠে নামার পর ১ ফেব্রুয়ারি মায়ামি খেলবে নেইমারের আল হিলালের বিপক্ষে। এর মধ্যে মেসি-রোনালদো, মেসি-নেইমারের লড়াই দেখতে দর্শকদের উদ্দীপনার কমতি নেই

তবে মায়ামি-নাসরের ম্যাচ খেলতে বেশ আগ্রহ দর্শকদের। নেইমারের ইনজুরির কারণে তুলনামূলক আলোচনায় কম মায়ামি-আল হিলার ম্যাচ। দর্শকদের উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মেসি। রিয়াদ সিজন কাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

সেখানে তিন দলের এই প্রতিযোগিতাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মেসি লিখেছেন, ‘ইন্টার মায়ামির হয়ে রিয়াদ সিজন কাপের অংশ হতে তর সইছে না, যেখানে এক ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপে সৌদির শীর্ষ ক্লাবগুলোর মুখোমুখি হতে হবে।’

গত বছরের জানুয়ারিতেও পিএসজির হয়ে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। রিয়াদে সৌদি ক্লাবগুলোর ফুটবলারদের নিয়ে গড়া অল স্টারসকে নেতৃত্ব দেয় রোনালদো। সে ম্যাচে ৫-৪ গোলে জয় পায় মেসির দল। সেদিনই সর্বশেষ মুখোমুখি হন মেসি-রোনালদো।

এ পর্যন্ত মেসি-রোনালদো ১৩টি ব্যালন ডি’অর ভাগাভাগি করে নেন। দুজন এ পর্যন্ত একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন ৩৫ ম্যাচ। মেসির ১৬ জয়ের বিপরীতে রোনালদো জিতেছে ১০টি। মেসি গোল করেছেন ২১টি, সহায়তা আছে আরও ১২ গোলে। আর রোনালদো গোলের পাশাপাশি ২০টি, সহায়তা করেন ১টি।