সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা ৮২ হাজার ৫০৭টি –স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • ঢাকা ব্যুরো।।
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৩০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি। তবে গত ৫ বছরে এ সংক্রান্ত ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা নিষ্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুসারে মাদকসহ আটক হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। এই বিধানের আলোকে অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা বিচারিক আদালতে নিষ্পন্ন হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর আলোকে মহানগর দায়রা জজ, দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য এক বা একাধিক এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করার বিধান রাখা হয়। বর্তমানে এ বিধানের আলোকেই আদালতে মাদক মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে একই দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর সারা দেশে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারা দেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা দানসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।  দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মায়ানমার থেকে এবং ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে। মাদক নির্মূলে সারা দেশে সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স-২০২৩ সালে ১৯ হাজার ১৭০টি অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ৮ হাজার ৫৬৭টি মামলা করা হয়। ওই মামলাগুলোতে ৮ হাজার ৬০৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সমন্বয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্স কর্তৃক ২০২৩ সালে ২৮০টি অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৮ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এ ইয়াবা (এ্যামফিটামিন) ‘ক’ শ্রেণির মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের যথাযথ শাস্তি বিধান কল্পে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচণা দানকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জনপ্রিয়

রাঙ্গুনিয়া হানাদারমুক্ত দিবস আজ

মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা ৮২ হাজার ৫০৭টি –স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি। তবে গত ৫ বছরে এ সংক্রান্ত ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা নিষ্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিচারিক আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৮২ হাজার ৫০৭টি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুসারে মাদকসহ আটক হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। এই বিধানের আলোকে অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলাগুলোর তদন্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ৫ বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০ হাজার ২৫৯টি মামলা বিচারিক আদালতে নিষ্পন্ন হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এর আলোকে মহানগর দায়রা জজ, দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য এক বা একাধিক এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করার বিধান রাখা হয়। বর্তমানে এ বিধানের আলোকেই আদালতে মাদক মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এদিকে একই দিন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচএম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গত বছর সারা দেশে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

তিনি বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারা দেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা দানসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।  দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মায়ানমার থেকে এবং ভারত থেকে গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে। মাদক নির্মূলে সারা দেশে সব আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স-২০২৩ সালে ১৯ হাজার ১৭০টি অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া ৮ হাজার ৫৬৭টি মামলা করা হয়। ওই মামলাগুলোতে ৮ হাজার ৬০৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সমন্বয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্স কর্তৃক ২০২৩ সালে ২৮০টি অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৭০৮ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এ ইয়াবা (এ্যামফিটামিন) ‘ক’ শ্রেণির মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের যথাযথ শাস্তি বিধান কল্পে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচণা দানকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।