
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমকে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমানে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নেই বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দম্ভে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলোর সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনাকে সরকার গণতন্ত্রকামী রাজনীতিবিদদের জন্য প্রযোজ্য করেছে।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না তা মেজর হাফিজের মতো একজন অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নেই বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুঃশাসন প্রলম্বিত করার জন্যই দেশে ভীতি ও আতঙ্কের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে।’
মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
আইনজীবী ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রায় এক যুগ আগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ২৮ ডিসেম্বর মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মঙ্গলবার হাফিজ উদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে তিনি জামিন চান। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত হাফিজ উদ্দিনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঢাকা ব্যুরো।। 







































