মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ২৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেটের পতন

শ্রীলংকার দুর্দান্ত সূচনার লাগাম টেনে ২৫৫ রানেই অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মোটামুটি মানের এই লক্ষ্যে নেমেই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৩ রান তুলতেই হারিয়েছে টপ অর্ডারের ৩ উইকেট।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। এখন উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদের তোপে ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। তবে যেভাবে তারা শুরুটা করেছিল, তাতে অনায়াসেই তিনশ রান চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দলীয় ৫০ রান তারা করে মাত্র ৪০ বলে। ওয়ানডেতে দলে ফেরা পাথুম নিশাঙ্কা আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান তুলতে ব্যর্থ আবিষ্কা ফার্নান্দো ছিলেন হাতখোলা। এই দুজনের ঝড় থামে দশম ওভারের পঞ্চম বলে, শ্রীলংকার রান তখন ৭১। তানজিম হাসান সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন আবিষ্কা। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।

প্রথম দশ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৭১ রান তোলে লংকানরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও সাকিবের আঘাত। এবার স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান নিশাঙ্কাকে। ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাকিব ‘শো’ সেখানেই শেষ হয়নি। নিজের করা চতুর্থ ওভারেও উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। দলীয় ১৪তম ওভারের প্রথম বলে নতুন নামা সাদিরা সামারাবিক্রামাকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। উড়তে থাকা শ্রীলংকা হঠাৎ ৩ উইকেট হারিয়ে হয়ে পড়ে দিশেহারা।

চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস ও লিয়ানাগে। এই দুজন বেশ ধীরগতিতে রান করেছেন। ১২৮ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হন আসালঙ্কা। এরপর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিয়ানাগে। তিনি ব্যাটিংয়ে নামার পরই চিত্র বদলে যায়। দারুণ স্ট্রাইকে রান তুলতে থাকেন তারা। ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ১৯৭ রানের মাথায় ফেরেন মেন্ডিস। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার। এরপরে উইকেটে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২২১ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ফেরেন এই তারকা। তবে আরেক পাশে দারুণ খেলতে থাকা লিয়ানাগে ঠিকই দারুণ খেলতে থাকেন। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় ফিফটি। ২২৫ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন মহেশ থিকসানা। ২৪৪ রানে লিয়ানাগেকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৬৯ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৫৫ রানে অলআউট হয় লংকানরা।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। স্পিনার হিসেবে তাইজুল ইসলাম ব্যর্থ হলেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১টি উইকেট পেলেও ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৩ রান দিয়েছেন তিনি।

জনপ্রিয়

যশোরে নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে পরিবারকল্যাণ কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশ ২৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেটের পতন

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪

শ্রীলংকার দুর্দান্ত সূচনার লাগাম টেনে ২৫৫ রানেই অলআউট করে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে মোটামুটি মানের এই লক্ষ্যে নেমেই বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৩ রান তুলতেই হারিয়েছে টপ অর্ডারের ৩ উইকেট।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। এখন উইকেটে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে তানজিম হাসান সাকিব-তাসকিন আহমেদের তোপে ২৫৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। তবে যেভাবে তারা শুরুটা করেছিল, তাতে অনায়াসেই তিনশ রান চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দলীয় ৫০ রান তারা করে মাত্র ৪০ বলে। ওয়ানডেতে দলে ফেরা পাথুম নিশাঙ্কা আর টি-টোয়েন্টি সিরিজে রান তুলতে ব্যর্থ আবিষ্কা ফার্নান্দো ছিলেন হাতখোলা। এই দুজনের ঝড় থামে দশম ওভারের পঞ্চম বলে, শ্রীলংকার রান তখন ৭১। তানজিম হাসান সাকিবের করা দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেন আবিষ্কা। ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।

প্রথম দশ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৭১ রান তোলে লংকানরা। নিজের তৃতীয় ওভারে আবারও সাকিবের আঘাত। এবার স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান নিশাঙ্কাকে। ২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। সাকিব ‘শো’ সেখানেই শেষ হয়নি। নিজের করা চতুর্থ ওভারেও উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। দলীয় ১৪তম ওভারের প্রথম বলে নতুন নামা সাদিরা সামারাবিক্রামাকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। উড়তে থাকা শ্রীলংকা হঠাৎ ৩ উইকেট হারিয়ে হয়ে পড়ে দিশেহারা।

চতুর্থ উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস ও লিয়ানাগে। এই দুজন বেশ ধীরগতিতে রান করেছেন। ১২৮ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হন আসালঙ্কা। এরপর মেন্ডিসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিয়ানাগে। তিনি ব্যাটিংয়ে নামার পরই চিত্র বদলে যায়। দারুণ স্ট্রাইকে রান তুলতে থাকেন তারা। ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ১৯৭ রানের মাথায় ফেরেন মেন্ডিস। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার। এরপরে উইকেটে নেমে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২২১ রানের মাথায় তাসকিনের বলে ফেরেন এই তারকা। তবে আরেক পাশে দারুণ খেলতে থাকা লিয়ানাগে ঠিকই দারুণ খেলতে থাকেন। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় ফিফটি। ২২৫ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন মহেশ থিকসানা। ২৪৪ রানে লিয়ানাগেকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৬৯ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৫৫ রানে অলআউট হয় লংকানরা।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন তিন পেসার তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। স্পিনার হিসেবে তাইজুল ইসলাম ব্যর্থ হলেও দারুণ উজ্জ্বল ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১টি উইকেট পেলেও ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৩ রান দিয়েছেন তিনি।