মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রিশালে জিলানী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধন

ময়মনসিংহের-ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের খাগাটি জামতলি এলাকার আব্দুল কাদের জিলানী কে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার  ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ।

১৫ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক সাইনবোর্ড এলাকায় মানববন্ধন করা হয়।

এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল মিয়া, এলাকাবাসী ও জিলানীর পরিবার উপস্থিত ছিলেন।

ইউপি সদস্য লালমিয়া বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী সামাজিক লোক ছিল। জিলানী সবসময় এলাকায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো সমাজের খারাপ শ্রেণীর লোকেরা এটা মেনে নিতে পারতো না। তাই তাকে মেরে ফেলার জন্য এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে, বাড়ি ঘরও হামলা করা হয়েছে। গত পবিত্র রমজান মাসের শবে কদর রাতে জিলানী তার পিতার কবর জিয়ারত করতে গেলে,খবর পেয়ে উৎ পেতে থাকা মামুন ও সোহাগ বাহিনী দলবল নিয়ে এসে গাড়িতে হামলা করে,এবং তাকে টেনে হেছরে নামিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

মানববন্ধনে থাকা জিলানীর ছেলে রাকিবুল হাসান কান্দনরত অবস্থায় বলেন, আমার পিতার সাথে আমি ছিলাম, মামুন ও সোহাগ বাহিনী আমার পিতাকে আমার কাছ থেকে টেনে হেচরে নামিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ফেড়াতে গেলে ওরা আমার উপরে আক্রমণ করে। একই এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, জিলানী খুব ভালো মানুষ ছিল। সমাজের সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, খারাপ লোকেরা জিলানীকে হত্যা করার জন্য আরও একাধিকবার হামলা করেছিল। অবশেষে ৬ এপ্রিল শবেকদর রাত্রে তার পিতার কবর জিয়ারত করতে আসলে মামুন সোহাগ বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণে থাকা সালমা আক্তার বলেন, জিলানী ছিলেন পরোপকারী ভালো মানুষ, সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের উপকারে এগিয়ে যেত।

সমাজের এক শ্রেণীর লোকেরা যাতে বিনা বাঁধায় খারাপি করতে পারে সেই জন্য জিলানির উপর বারবার আক্রমণ করে আসছিল, নানা ধরনের চক্রান্ত করে জিলানি কে প্রথমে এলাকা ছাড়া করেছে। পরে শবে কদর রাত্রে বাড়ির পাশে মামুন ও সোহাগ বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি। জিলানীর কিশোরী মেয়ে, মিম আক্তার বলেন, ওদের অত্যাচারে আমি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। আমি স্কুলে গেলে তারা স্কুলে যাওয়ার পথে  বাঁধা সৃষ্টি করতো। আমার পিতাকে তারা  নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী  জানাচ্ছি।

মানববন্ধন শেষ বিচার প্রার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা  দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ভিক্ষোবকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনায় বেনাপোলে বিএনপির উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

ত্রিশালে জিলানী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৭:১৯:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ময়মনসিংহের-ত্রিশাল উপজেলার মোক্ষপুর ইউনিয়নের খাগাটি জামতলি এলাকার আব্দুল কাদের জিলানী কে নৃশংসভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার  ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ।

১৫ এপ্রিল (সোমবার) বিকেলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক সাইনবোর্ড এলাকায় মানববন্ধন করা হয়।

এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল মিয়া, এলাকাবাসী ও জিলানীর পরিবার উপস্থিত ছিলেন।

ইউপি সদস্য লালমিয়া বলেন, আব্দুল কাদের জিলানী সামাজিক লোক ছিল। জিলানী সবসময় এলাকায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো সমাজের খারাপ শ্রেণীর লোকেরা এটা মেনে নিতে পারতো না। তাই তাকে মেরে ফেলার জন্য এর আগেও কয়েকবার হামলা করেছে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে, বাড়ি ঘরও হামলা করা হয়েছে। গত পবিত্র রমজান মাসের শবে কদর রাতে জিলানী তার পিতার কবর জিয়ারত করতে গেলে,খবর পেয়ে উৎ পেতে থাকা মামুন ও সোহাগ বাহিনী দলবল নিয়ে এসে গাড়িতে হামলা করে,এবং তাকে টেনে হেছরে নামিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

মানববন্ধনে থাকা জিলানীর ছেলে রাকিবুল হাসান কান্দনরত অবস্থায় বলেন, আমার পিতার সাথে আমি ছিলাম, মামুন ও সোহাগ বাহিনী আমার পিতাকে আমার কাছ থেকে টেনে হেচরে নামিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি ফেড়াতে গেলে ওরা আমার উপরে আক্রমণ করে। একই এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, জিলানী খুব ভালো মানুষ ছিল। সমাজের সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, খারাপ লোকেরা জিলানীকে হত্যা করার জন্য আরও একাধিকবার হামলা করেছিল। অবশেষে ৬ এপ্রিল শবেকদর রাত্রে তার পিতার কবর জিয়ারত করতে আসলে মামুন সোহাগ বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণে থাকা সালমা আক্তার বলেন, জিলানী ছিলেন পরোপকারী ভালো মানুষ, সে সব সময় গরীব দুঃখী মানুষের উপকারে এগিয়ে যেত।

সমাজের এক শ্রেণীর লোকেরা যাতে বিনা বাঁধায় খারাপি করতে পারে সেই জন্য জিলানির উপর বারবার আক্রমণ করে আসছিল, নানা ধরনের চক্রান্ত করে জিলানি কে প্রথমে এলাকা ছাড়া করেছে। পরে শবে কদর রাত্রে বাড়ির পাশে মামুন ও সোহাগ বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফপ্তার ও ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি। জিলানীর কিশোরী মেয়ে, মিম আক্তার বলেন, ওদের অত্যাচারে আমি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। আমি স্কুলে গেলে তারা স্কুলে যাওয়ার পথে  বাঁধা সৃষ্টি করতো। আমার পিতাকে তারা  নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমার বাবার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী  জানাচ্ছি।

মানববন্ধন শেষ বিচার প্রার্থীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা  দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে ভিক্ষোবকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।