মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আ.লীগ নেতার

আওয়ামী লীগ নেতা সরদার আবুল কালাম আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আবুল কালাম আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বাকি বিল্লাহর ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনের ভাগিনা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিতর্কিত লেখালেখির অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাসটি দেন। পরে বুধবার (১ মে) সকালে তার লেখাটি দেখার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। এমন স্ট্যাটাসে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেছেন তারা। এদিকে সমালোচনার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বুধবার বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে কোনো এক সময় পোস্টটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘হাসিনার নিয়ম-নীতির বিবর্তনে, এই অঞ্চলে নেতাকর্মী জনগণের চরিত্রে পালাক্রমে ধর্ষণ চলিতেছে। তবুও আমি সতী।

তার লেখায় প্রধানমন্ত্রীর নামের আগে ‘শেখ’ ব্যবহার না করা, ‘ধর্ষণ’র মতো স্পর্শকাতর শব্দ যোগ করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার দেয়া স্ট্যাটাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার লেখাটি রীতিমোত অপমানজনক মনে করছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই।

উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিপন আহমেদ বলেন, সরদার আজাদ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এখন তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না। এই নেতার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

স্ট্যাটাসের বিষয়ে কথা বলতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে বুধবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরদার আজাদের মামা লোকমান হোসেন বলেন, আজাদ ফেসবুকে যেটা লিখেছে, সেটা সে কোনভাবেই লিখতে পারে না। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দলীয় আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রিয়

আর্থিক সাহায্য চেয়ে জারার পোস্ট, সাত ঘণ্টায় পেলেন যত লাখ টাকা

প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আ.লীগ নেতার

প্রকাশের সময় : ১০:৫১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আবুল কালাম আজাদ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. বাকি বিল্লাহর ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেনের ভাগিনা। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিতর্কিত লেখালেখির অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতের পর কোনো এক সময় আবুল কালাম আজাদ ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাসটি দেন। পরে বুধবার (১ মে) সকালে তার লেখাটি দেখার পর ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে। এমন স্ট্যাটাসে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তি দাবি করেছেন তারা। এদিকে সমালোচনার মুখে পড়ে বাধ্য হয়ে এক পর্যায়ে বুধবার বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে কোনো এক সময় পোস্টটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেন ওই নেতা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘হাসিনার নিয়ম-নীতির বিবর্তনে, এই অঞ্চলে নেতাকর্মী জনগণের চরিত্রে পালাক্রমে ধর্ষণ চলিতেছে। তবুও আমি সতী।

তার লেখায় প্রধানমন্ত্রীর নামের আগে ‘শেখ’ ব্যবহার না করা, ‘ধর্ষণ’র মতো স্পর্শকাতর শব্দ যোগ করা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার দেয়া স্ট্যাটাসের কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার লেখাটি রীতিমোত অপমানজনক মনে করছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই।

উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিপন আহমেদ বলেন, সরদার আজাদ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এখন তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না। এই নেতার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

স্ট্যাটাসের বিষয়ে কথা বলতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে বুধবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরদার আজাদের মামা লোকমান হোসেন বলেন, আজাদ ফেসবুকে যেটা লিখেছে, সেটা সে কোনভাবেই লিখতে পারে না। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। দলীয় আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের জানানো হয়েছে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।