মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে চোর আতঙ্কে গ্রামবাসী, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায়

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফুল আলম এর  গত ২৬ই এপ্রিল রাতে উপজেলার গোয়ালঘর থেকে শাহীওয়াল একটি গরু চুরি হয়েছে। সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ছুটে আসে ওই বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর চুরি হওয়া গরু খোঁজাখুঁজি শুরু হলে ২৭ই এপ্রিল রাত ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কলেজ রোড থেকে একটি পিকাপগাড়ী গরুসহ স্থানীয়রা আটক করে। পরে কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ইফতেখার আহমেদ বদরুল ও ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ তরফদারের সাথে যোগাযোগ করে পিকাপগাড়ি গরু ও ড্রাইভার, হেলফার সহ তাদেরকে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার পাঠালে দেখা যায় গরুটি রামচন্দ্রপুর গ্রামের আশরাফুল আলমের আগের রাতে চুরি হওয়া শাহীওয়াল গরু এবং পিকআপ গাড়ীটি একই গ্রামের কনা মিয়ার। চুরির সাথে জড়িত থাকায় উপস্থিত সময়ে আজিম বক্ত চৌধুরী পিতা, মজনু বক্ত চৌধুরী,  সাং করিমপুর,  কমলগঞ্জ পৌরসভা। নেছার মিয়া,  সাং জসমতপুর । কনা মিয়ার বউ  সাং রামচন্দ্র পুর,রহিম পুর ইউনিয়ন কে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন উত্তেজিত জনতা। আটক চোরদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও একটি গরু উদ্বার করা হয় এবং চুরির মুলহোতা রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের  কনা মিয়াকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত গরু চুরির সাথে জড়িত কনা মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গরু চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে তাই গরু, ছাগল, গাছসহ সকল প্রকার চুরি বন্ধে গত ৩রা মে শুক্রবার  বিকেলে রামচন্দ্রপুর গ্রামে সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি সদস্য বুলবুল আহমদ ওয়াতিরের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা লুৎফুর রহমান জাকারিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রামচন্দ্রপুর, ধর্মপুর, মিরতিংগা চা বাগানে অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে।
অসহায় মানুষের গরু ফিরিয়ে দিতে এবং অবিলম্বে চুর সনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করেন গ্রামবাসী।
জনপ্রিয়

যশোর বাঘারপাড়ায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মানুষের দোয়া

কমলগঞ্জে চোর আতঙ্কে গ্রামবাসী, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায়

প্রকাশের সময় : ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফুল আলম এর  গত ২৬ই এপ্রিল রাতে উপজেলার গোয়ালঘর থেকে শাহীওয়াল একটি গরু চুরি হয়েছে। সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ছুটে আসে ওই বাড়িতে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর চুরি হওয়া গরু খোঁজাখুঁজি শুরু হলে ২৭ই এপ্রিল রাত ৯টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কলেজ রোড থেকে একটি পিকাপগাড়ী গরুসহ স্থানীয়রা আটক করে। পরে কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ইফতেখার আহমেদ বদরুল ও ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ তরফদারের সাথে যোগাযোগ করে পিকাপগাড়ি গরু ও ড্রাইভার, হেলফার সহ তাদেরকে কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার পাঠালে দেখা যায় গরুটি রামচন্দ্রপুর গ্রামের আশরাফুল আলমের আগের রাতে চুরি হওয়া শাহীওয়াল গরু এবং পিকআপ গাড়ীটি একই গ্রামের কনা মিয়ার। চুরির সাথে জড়িত থাকায় উপস্থিত সময়ে আজিম বক্ত চৌধুরী পিতা, মজনু বক্ত চৌধুরী,  সাং করিমপুর,  কমলগঞ্জ পৌরসভা। নেছার মিয়া,  সাং জসমতপুর । কনা মিয়ার বউ  সাং রামচন্দ্র পুর,রহিম পুর ইউনিয়ন কে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন উত্তেজিত জনতা। আটক চোরদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও একটি গরু উদ্বার করা হয় এবং চুরির মুলহোতা রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের  কনা মিয়াকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত গরু চুরির সাথে জড়িত কনা মিয়াকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গরু চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে তাই গরু, ছাগল, গাছসহ সকল প্রকার চুরি বন্ধে গত ৩রা মে শুক্রবার  বিকেলে রামচন্দ্রপুর গ্রামে সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি সদস্য বুলবুল আহমদ ওয়াতিরের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা লুৎফুর রহমান জাকারিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রামচন্দ্রপুর, ধর্মপুর, মিরতিংগা চা বাগানে অর্ধশতাধিক গরু চুরি হয়েছে।
অসহায় মানুষের গরু ফিরিয়ে দিতে এবং অবিলম্বে চুর সনাক্ত করে আইনের মাধ্যমে বিচার প্রার্থনা করেন গ্রামবাসী।