বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাদ থেকে পরে কিশোরীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি।

চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে পড়ে খাদিজা আক্তার রাত্রী (১৭) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানী দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহতের মা জায়েদা আক্তার জানান, তার দুই মেয়ের মধ্যে বড় খাদিজা মানসিক প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন সকালে চারতলা বাড়িটির ছাদে হাঁটতে যেত সে। আজ সকালে সবাই যখন ঘুমে তখন একা একাই খাদিজা ছাদে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার ছোট বোন আমেনা আক্তার কণাও ছাদে যায়। তবে সেখানে গিয়ে বড় বোনকে আর দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে গেলে তারা দেখেন, ভবনটির নিচে পড়ে আছে খাদিজা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, ভবনের ছাদে চার পাশে রেলিং রয়েছে। তারপরও কীভাবে সে নিচে পড়লো তা জানা নেই তাদের।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ওই কিশোরীর মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

স্বজনরা জানান, খাদিজার বাবা কাওসার আহমেদ ব্যবসায়ী এবং মা জায়েদা আক্তার গৃহিণী। তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের ওই বাড়িটির চতুর্থ তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন তারা।

জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ছাদ থেকে পরে কিশোরীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

চারতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে পড়ে খাদিজা আক্তার রাত্রী (১৭) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানী দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে একটি বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।

নিহতের মা জায়েদা আক্তার জানান, তার দুই মেয়ের মধ্যে বড় খাদিজা মানসিক প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন সকালে চারতলা বাড়িটির ছাদে হাঁটতে যেত সে। আজ সকালে সবাই যখন ঘুমে তখন একা একাই খাদিজা ছাদে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার ছোট বোন আমেনা আক্তার কণাও ছাদে যায়। তবে সেখানে গিয়ে বড় বোনকে আর দেখতে পায়নি। পরবর্তীতে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে গেলে তারা দেখেন, ভবনটির নিচে পড়ে আছে খাদিজা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি জানান, ভবনের ছাদে চার পাশে রেলিং রয়েছে। তারপরও কীভাবে সে নিচে পড়লো তা জানা নেই তাদের।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ওই কিশোরীর মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

স্বজনরা জানান, খাদিজার বাবা কাওসার আহমেদ ব্যবসায়ী এবং মা জায়েদা আক্তার গৃহিণী। তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের ওই বাড়িটির চতুর্থ তলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন তারা।