
বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের রায়েন্দা গ্রামের তাফালবাড়ি বাজার সংলগ্ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে রাস্তার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শত বছরের পুরনো সেই কৃষ্ণচূড়া গাছে এখন শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের সমাহার। এতে রীতিমতো মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
গত ২৬ শে জানুয়ারি দৈনিক রানার আপ পত্রিকায় এই গাছ এবং গাছের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিল—
“বৃহদায়তনের কৃষ্ণচূড়া গাছটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। রাস্তার পাশেই রয়েছে বড় খাল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী এবং যাত্রীরা। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, গ্রামের আঁকাবাঁকা অনুন্নত রাস্তা, সেই সাথে রাস্তার মাঝখানে বৃহদায়তনের গাছ থাকাতে এ পর্যন্ত বেশকিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে এখানে। ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বহু মানুষ।এমতাবস্থায় গাছটি অপসারণ করা হবে কী না তা নিয়ে এলাকাবাসী এবং পরিবেশবাদীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতানৈক্য। এলাকাবাসী চায় অপসারণ আর পরিবেশবাদীরা বলছেন ঐতিহ্য রক্ষার কথা।”
জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ঐতিহ্য রক্ষা ও যাতায়াতের সঙ্কট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছিলেন সেই প্রতিবেদনে।
যাতায়াত সমস্যা সমাধানের কোনো আভাস না পাওয়া এবং গাছে দৃষ্টিনন্দন ফুল ফোটাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শুরু হয়েছে নানান কল্পনা-জল্পনা আর আলোচনা-পর্যালোচনা। পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি জনদুর্ভোগের অবসান ঘটাতে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেবেন দায়িত্বশীল মহল— এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
নাজমুল ইসলাম, শরণখোলা বাগেরহাট 







































