বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই বিয়ের ধুম

ছবি-সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মধ্যেই এক বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেই গায়ে হলুদের সেই আনুষ্ঠানিকতাতে উপস্থিত হয়েছেন মেয়ের পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীরাও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হলেও নাচে-গানে মেতে উদযাপন করাই ছিল না কোনো কমতি।

রোববার রাতে সোনাগাজীর সমুদ্র উপকূল ঘেঁষা চরখন্দকার এলাকায় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যেই শেষপর্যন্ত নির্বিঘ্নে শেষ হয় দিতি রানী জলদাসের এ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। যদিও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন স্থবির করে দিলেও থামাতে পারেনি এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগেই সকালে সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে জারি করা হয় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন মানুষ।

জানা যায়, উপকূলবর্তী জেলেপাড়ার বাসিন্দা হরনাথ জলদাসের মেয়ে দিতি রানী জলদাসের বিয়ের তারিখ সম্প্রতি ধার্য করা হয়। এরই মাঝে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে অনুষ্ঠানের সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ব নির্ধারিত হওয়ায় পেছানো সম্ভব হয়নি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের তারিখ।

এ বিষয়ে দিতি রানী জলদাস বলেন, ‘পূর্ব থেকে নির্ধারিত হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় হলেও এ তারিখে আমার বিয়ে হচ্ছে। আমার বাবা তার সাধ্যনুযায়ী বিয়েতে আয়োজন করেছেন। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়েছে।’

এ দিকে পরিবারের দাবি, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা মেনে আয়োজন করা হয়েছে সবকিছু। এতে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের মধ্যেও চালিয়ে নেওয়া হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে গায়ে হলুদে আগতরা তরুণীর নতুন জীবনকে স্বাগত জানিয়ে প্রার্থনা করেছেন।

জনপ্রিয়

দেশে ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই বিয়ের ধুম

প্রকাশের সময় : ১০:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ফেনীর সোনাগাজীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মধ্যেই এক বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেই গায়ে হলুদের সেই আনুষ্ঠানিকতাতে উপস্থিত হয়েছেন মেয়ের পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীরাও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হলেও নাচে-গানে মেতে উদযাপন করাই ছিল না কোনো কমতি।

রোববার রাতে সোনাগাজীর সমুদ্র উপকূল ঘেঁষা চরখন্দকার এলাকায় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যেই শেষপর্যন্ত নির্বিঘ্নে শেষ হয় দিতি রানী জলদাসের এ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। যদিও ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন স্থবির করে দিলেও থামাতে পারেনি এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগেই সকালে সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলে জারি করা হয় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন মানুষ।

জানা যায়, উপকূলবর্তী জেলেপাড়ার বাসিন্দা হরনাথ জলদাসের মেয়ে দিতি রানী জলদাসের বিয়ের তারিখ সম্প্রতি ধার্য করা হয়। এরই মাঝে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তবে অনুষ্ঠানের সব আনুষ্ঠানিকতা পূর্ব নির্ধারিত হওয়ায় পেছানো সম্ভব হয়নি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের তারিখ।

এ বিষয়ে দিতি রানী জলদাস বলেন, ‘পূর্ব থেকে নির্ধারিত হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় হলেও এ তারিখে আমার বিয়ে হচ্ছে। আমার বাবা তার সাধ্যনুযায়ী বিয়েতে আয়োজন করেছেন। তাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়েছে।’

এ দিকে পরিবারের দাবি, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা মেনে আয়োজন করা হয়েছে সবকিছু। এতে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের মধ্যেও চালিয়ে নেওয়া হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে গায়ে হলুদে আগতরা তরুণীর নতুন জীবনকে স্বাগত জানিয়ে প্রার্থনা করেছেন।