সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের প্রলোভনে নারীকে লালমনিরহাটে এনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন্ন একটি জেলা থেকে নিয়ে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে কাজল ইসলাম (১৯) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সোমবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পাওয়ার পর হাতীবান্ধা থানা পুলিশ মূল অভিযুক্ত কাজলকে গ্রেপ্তার করে। অতঃপর গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

বুধবার হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত কাজল পাটগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। অভিযুক্ত অন্য দুই ব্যক্তি হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার মিঠু ইসলাম (৩২) এবং হাতীবান্ধা উপজেলার আল আমিন (৩০)।

সূত্রমতে, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীর সাথে কাজলের মুঠোফোনে কথা হতো। সেই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর কাজল ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এর ফলে ওই নারী কাজলকে বিয়ে করতে নিজ জেলা থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় চলে আসেন। অতঃপর ওই নারীকে কাজল হাতীবান্ধায় তার বোনজামাই এর বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার দিন কাজল ও তার দুই বোন জামাই একত্রে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে জোরপূর্বক অপরিচিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় অভিযুক্ত কাজল।

এরপর ভুক্তভোগী ওই নারী তার খালাতো বোনকে সাথে নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত দ্য নিউজকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী তিনজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অভিযোগ আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে আমরা মামলা নেই। অভিযুক্ত কাজল ইসলামকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করি। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

যশোরে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক জখম

বিয়ের প্রলোভনে নারীকে লালমনিরহাটে এনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন্ন একটি জেলা থেকে নিয়ে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে কাজল ইসলাম (১৯) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী সোমবার রাতে হাতীবান্ধা থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি পাওয়ার পর হাতীবান্ধা থানা পুলিশ মূল অভিযুক্ত কাজলকে গ্রেপ্তার করে। অতঃপর গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

বুধবার হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত কাজল পাটগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। অভিযুক্ত অন্য দুই ব্যক্তি হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার মিঠু ইসলাম (৩২) এবং হাতীবান্ধা উপজেলার আল আমিন (৩০)।

সূত্রমতে, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারীর সাথে কাজলের মুঠোফোনে কথা হতো। সেই সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর কাজল ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এর ফলে ওই নারী কাজলকে বিয়ে করতে নিজ জেলা থেকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় চলে আসেন। অতঃপর ওই নারীকে কাজল হাতীবান্ধায় তার বোনজামাই এর বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার দিন কাজল ও তার দুই বোন জামাই একত্রে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর ওই নারী অসুস্থ হলে তাকে জোরপূর্বক অপরিচিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় অভিযুক্ত কাজল।

এরপর ভুক্তভোগী ওই নারী তার খালাতো বোনকে সাথে নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কাজলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত দ্য নিউজকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারী তিনজনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার অভিযোগ আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে আমরা মামলা নেই। অভিযুক্ত কাজল ইসলামকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করি। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।