বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

  • ঢাকা ব্যুরো
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • ১৩০

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকার নবাবগঞ্জে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই কাণ্ডে আলকাম (৩২) ওরফে ডলার কামরুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সে ধামরাই উপজেলার আনন্দনগর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন আলকাম। এর সূত্রধরে গত ৩১ মার্চ উপজেলার গালিমপুর বাজার থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে একমাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আলকাম। এতে রাজি না হলে ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় ৩০ মে ভুক্তভোগীর মা নবাবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে ও নবাবগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মিরপুর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, পুলিশের পোষাক, স্টিকার ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করার কথা জানান সহকারী পুলিশ সুপার আশ্রাফুল আলম। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০১:১৯:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

ঢাকার নবাবগঞ্জে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই কাণ্ডে আলকাম (৩২) ওরফে ডলার কামরুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সে ধামরাই উপজেলার আনন্দনগর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে।

শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে মোবাইল ফোনে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন আলকাম। এর সূত্রধরে গত ৩১ মার্চ উপজেলার গালিমপুর বাজার থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে একমাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আলকাম। এতে রাজি না হলে ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় ৩০ মে ভুক্তভোগীর মা নবাবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে ও নবাবগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার মিরপুর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, পুলিশের পোষাক, স্টিকার ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করার কথা জানান সহকারী পুলিশ সুপার আশ্রাফুল আলম। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।