বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকও সমাজকে সচেতন করতে পারেন।

বুধবার, (১২ জুন) দুপুরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হোটেল রেস্তোরাঁ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে  করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি করেছে।

‘আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও প্র্যাক্টিস বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। এই কাজে সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব না। সেকারণে যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মনির উদ্দিন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক  মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জাকারিয়া ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক টুটুল।

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার সমাধিতে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারের পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকও সমাজকে সচেতন করতে পারেন।

বুধবার, (১২ জুন) দুপুরে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে হোটেল রেস্তোরাঁ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে  করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি করেছে।

‘আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও প্র্যাক্টিস বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। এই কাজে সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব না। সেকারণে যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মনির উদ্দিন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক  মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জাকারিয়া ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক টুটুল।