মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেসার মোস্তাফিজকে প্রশংসা করলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার

সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বল হাতে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। সেই ফর্ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টেনে নিয়ে গেছেন বাঁহাতি এই পেসার। গ্রুপপর্বের ৩ ম্যাচে বল হাতে ছিলেন ভীষণ কার্যকর। ‘কাটার মাস্টার’-এর এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল। বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তবে উইকেটের চেয়ে এই পেসারের বোলিংয়ের উল্লেখযোগ্য দিক, রান দেওয়ায় কৃপণতা। ‘ডেথ ওভারেও’ ব্যাটারদের খাবি খাইয়েছেন ‘দ্য ফিজ’। শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৮। তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বল হাতে আরও কিপটে ছিলেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিয়েছেন উইকেট।

মোস্তাফিজ এমন দুর্দান্ত বোলিং করলেও কয়েক বছর আগেও হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেকে। তার বলে প্রচুর রান বের করতেন ব্যাটাররা। তবে ভারত সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা মোস্তাফিজের বল খেলতে খাবি খেয়েছিলেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। এমনকি আইপিএলে ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো খেলতে গিয়েও হয়েছিলেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।

দুর্দান্তভাবে ক্যারিয়ার শুরু করার পর মাঝের ধাক্কা সামলে মোস্তাফিজ যে দারুণ উন্নতি করেছেন সেটিই চোখে পড়েছে পার্থিবের। ভারতের সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘সে (মোস্তাফিজ) দারুণ বোলিং করেছে, আপনি তার বোলিংয়ে অনেক উন্নতির ছাপ দেখতে পারবেন। আমার মনে হয় সে যখন ২০১৬-১৭ সালে খেলেছে, তখন তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ছিল ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ এবং সে যখন স্লোয়ার মারতো সেগুলো ১১০ কিংবা ১১৫ হতো, গতির দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল।’

ক্যারিয়ারের এর পরের সময়গুলোতে মোস্তাফিজের তেমন ধারালো না হওয়ার কারণ হিসেবে পার্থিব উল্লেখ করেছেন ভ্যারিয়েশনের ব্যাপারটিকেই। এই সময়ে মোস্তাফিজ তার গতির বল ১৩০ কিলোমিটারের আশেপাশে এবং স্লোয়ার বলগুলো ১২০-এর আশেপাশে রাখতেন বলে উল্লেখ করেছেন পার্থিব।

মোস্তাফিজের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘পিচ বোঝার ক্ষমতা তাকে আরও স্মার্ট বোলারে পরিণত করেছে। যার বড় উদাহরণ নিউইয়র্কের পিচে তার বোলিং। হারিস-আরশদীপসহ অন্যান্য বোলাররা ইয়র্কার করতে চেষ্টা করলেও একমাত্র মোস্তাফিজই ইয়র্কার করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০তম ওভারে সে মাত্র এক রান দিয়েছে যার মধ্যে একটিও ইয়র্কার ছিল না। চেন্নাইয়ে খেলা এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝা তাকে সাহায্য করেছে। সে বুঝেছে তার ফিটনেসে ১৪৫ কিলোমিটারে বল করা সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলোই তাকে স্মার্ট বোলার বানিয়েছে।

জনপ্রিয়

ইমরান খানের খোঁজ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভের ডাক, ১৪৪ ধারা জারি

পেসার মোস্তাফিজকে প্রশংসা করলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বল হাতে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। সেই ফর্ম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টেনে নিয়ে গেছেন বাঁহাতি এই পেসার। গ্রুপপর্বের ৩ ম্যাচে বল হাতে ছিলেন ভীষণ কার্যকর। ‘কাটার মাস্টার’-এর এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ভারতের সাবেক ক্রিকেটার পার্থিব প্যাটেল। বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তবে উইকেটের চেয়ে এই পেসারের বোলিংয়ের উল্লেখযোগ্য দিক, রান দেওয়ায় কৃপণতা। ‘ডেথ ওভারেও’ ব্যাটারদের খাবি খাইয়েছেন ‘দ্য ফিজ’। শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৮। তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বল হাতে আরও কিপটে ছিলেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তুলে নিয়েছেন উইকেট।

মোস্তাফিজ এমন দুর্দান্ত বোলিং করলেও কয়েক বছর আগেও হারিয়ে খুঁজছিলেন নিজেকে। তার বলে প্রচুর রান বের করতেন ব্যাটাররা। তবে ভারত সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করা মোস্তাফিজের বল খেলতে খাবি খেয়েছিলেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। এমনকি আইপিএলে ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো খেলতে গিয়েও হয়েছিলেন সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।

দুর্দান্তভাবে ক্যারিয়ার শুরু করার পর মাঝের ধাক্কা সামলে মোস্তাফিজ যে দারুণ উন্নতি করেছেন সেটিই চোখে পড়েছে পার্থিবের। ভারতের সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটার বলেন, ‘সে (মোস্তাফিজ) দারুণ বোলিং করেছে, আপনি তার বোলিংয়ে অনেক উন্নতির ছাপ দেখতে পারবেন। আমার মনে হয় সে যখন ২০১৬-১৭ সালে খেলেছে, তখন তার দ্রুতগতির ডেলিভারিগুলো ছিল ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ এবং সে যখন স্লোয়ার মারতো সেগুলো ১১০ কিংবা ১১৫ হতো, গতির দিক থেকে অনেক পার্থক্য ছিল।’

ক্যারিয়ারের এর পরের সময়গুলোতে মোস্তাফিজের তেমন ধারালো না হওয়ার কারণ হিসেবে পার্থিব উল্লেখ করেছেন ভ্যারিয়েশনের ব্যাপারটিকেই। এই সময়ে মোস্তাফিজ তার গতির বল ১৩০ কিলোমিটারের আশেপাশে এবং স্লোয়ার বলগুলো ১২০-এর আশেপাশে রাখতেন বলে উল্লেখ করেছেন পার্থিব।

মোস্তাফিজের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘পিচ বোঝার ক্ষমতা তাকে আরও স্মার্ট বোলারে পরিণত করেছে। যার বড় উদাহরণ নিউইয়র্কের পিচে তার বোলিং। হারিস-আরশদীপসহ অন্যান্য বোলাররা ইয়র্কার করতে চেষ্টা করলেও একমাত্র মোস্তাফিজই ইয়র্কার করেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০তম ওভারে সে মাত্র এক রান দিয়েছে যার মধ্যে একটিও ইয়র্কার ছিল না। চেন্নাইয়ে খেলা এবং নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝা তাকে সাহায্য করেছে। সে বুঝেছে তার ফিটনেসে ১৪৫ কিলোমিটারে বল করা সম্ভব নয়। এই বিষয়গুলোই তাকে স্মার্ট বোলার বানিয়েছে।