বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জ-জামালপুর সড়কে সিএনজি ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য, অসহায় যাত্রী 

ছবি: সংগৃহীত

বকশীগঞ্জ-জামালপুর জেলা শহরে ও শেরপুর সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র বাহন সিএনজি।
পবিত্র ঈদুল আযাহার ছুটি শেষে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। তবে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য কিছুতেই কমছে না বলে অভিযোগ করেছেন অসংখ্য সিএনজি যাত্রীরা।
বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর জেলা শহর ও শেরপুরের সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণের বেশী ভাড়া নিচ্ছেন সিএনজি ড্রাইভাররা।জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ (এমপি) জিবি মুক্ত ঘোষণা করলেও এতে সাধারণ মানুষের কোন উপকার হয়নি। বরং ঈদকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু সিএনজি ড্রাইভার বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর অথবা বকশীগঞ্জ থেকে শেরপুর, রাজিপুর-রৌমারী যাত্রীদের ভাড়া দ্বিগুণের বেশী গুনতে হচ্ছে। এখন নির্ধারিত ভাড়ায় কোন সিএনজি চলেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়,বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুরের নির্ধারিত ভাড়া ১০০ টাকা এবং বকশীগঞ্জ থেকে শেরপুরের ভড়া ৭০ টাকা। কিন্তু ঈদে অধিক যাত্রী থাকার সুযোগে অসাধু সিএনজি ড্রাইভাররা জামালপুর-২৫০ টাকা ও শেরপুর-১৫০ টাকাসহ তারা তাদের ইচ্ছামত দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কোন সিএনজিতে নিচ্ছেনা। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের যেতে হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন স্বপরিবারে যারা যাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে শিশু ও মহিলারা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের কোন উপায় থাকে না।
শেরপুর থেকে নিয়মিত যাতায়াত কারী মিজানুর রহমান বলেন,শেরপুর বকশীগঞ্জের ভাড়া ৭০ টাকা ছিলো কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত সিএনজি ড্রাইভাররা ১৫০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন। এটা একটা জুলুম মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ চলতেছে এমন সময়ে এ জুলুম মেনে নেওয়া যায় না। আমি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ ব্যাপারে সিএনজি ড্রাইভার মোতালেব মিয়া বলেন, সবাই ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে আমি কি করবো তাই আমিও নিচ্ছি। চালক হাবিব বলেন, আমি শেরপুর থেকে বকশীগঞ্জ সিএনজি চালাই।শেরপুর খালি গাড়ী নিয়ে যেতে হয় আসার যাত্রী বেশি হওয়ায় তাদের কছে ডাবল ভাড়া নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লাল জানান, ঈদের সময় হয়তো বাড়তি ভাড়া নিতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াটা অন্যায়। যারা অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, যে সিএনজি ড্রাইভারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জনপ্রিয়

আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান

বকশীগঞ্জ-জামালপুর সড়কে সিএনজি ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য, অসহায় যাত্রী 

প্রকাশের সময় : ০১:৫৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
বকশীগঞ্জ-জামালপুর জেলা শহরে ও শেরপুর সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র বাহন সিএনজি।
পবিত্র ঈদুল আযাহার ছুটি শেষে স্বজনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। তবে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্য কিছুতেই কমছে না বলে অভিযোগ করেছেন অসংখ্য সিএনজি যাত্রীরা।
বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর জেলা শহর ও শেরপুরের সিএনজি ভাড়া দ্বিগুণের বেশী ভাড়া নিচ্ছেন সিএনজি ড্রাইভাররা।জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ (এমপি) জিবি মুক্ত ঘোষণা করলেও এতে সাধারণ মানুষের কোন উপকার হয়নি। বরং ঈদকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু সিএনজি ড্রাইভার বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর অথবা বকশীগঞ্জ থেকে শেরপুর, রাজিপুর-রৌমারী যাত্রীদের ভাড়া দ্বিগুণের বেশী গুনতে হচ্ছে। এখন নির্ধারিত ভাড়ায় কোন সিএনজি চলেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়,বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুরের নির্ধারিত ভাড়া ১০০ টাকা এবং বকশীগঞ্জ থেকে শেরপুরের ভড়া ৭০ টাকা। কিন্তু ঈদে অধিক যাত্রী থাকার সুযোগে অসাধু সিএনজি ড্রাইভাররা জামালপুর-২৫০ টাকা ও শেরপুর-১৫০ টাকাসহ তারা তাদের ইচ্ছামত দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কোন সিএনজিতে নিচ্ছেনা। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের যেতে হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন স্বপরিবারে যারা যাচ্ছেন। বৃষ্টির কারণে শিশু ও মহিলারা রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের কোন উপায় থাকে না।
শেরপুর থেকে নিয়মিত যাতায়াত কারী মিজানুর রহমান বলেন,শেরপুর বকশীগঞ্জের ভাড়া ৭০ টাকা ছিলো কিন্তু গত কয়েকদিন যাবত সিএনজি ড্রাইভাররা ১৫০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন। এটা একটা জুলুম মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এমনিতেই খারাপ চলতেছে এমন সময়ে এ জুলুম মেনে নেওয়া যায় না। আমি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ ব্যাপারে সিএনজি ড্রাইভার মোতালেব মিয়া বলেন, সবাই ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে আমি কি করবো তাই আমিও নিচ্ছি। চালক হাবিব বলেন, আমি শেরপুর থেকে বকশীগঞ্জ সিএনজি চালাই।শেরপুর খালি গাড়ী নিয়ে যেতে হয় আসার যাত্রী বেশি হওয়ায় তাদের কছে ডাবল ভাড়া নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লাল জানান, ঈদের সময় হয়তো বাড়তি ভাড়া নিতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়াটা অন্যায়। যারা অতিরিক্ত ভাড়া নেয় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, যে সিএনজি ড্রাইভারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।