
যশোরে যুবলীগ কর্মী হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি নবাব গ্রেফতার
যশোরে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম নবাবকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোর রাতে বুধহাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নবাবের দাবি মাকে নিয়ে গালি দেয়ায় আলী হোসেনকে হত্যা করেছে সে। ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গত ৭ জুন রাত ১২টার দিকে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর তেতুলতলা মোড়ে যুবলীগ কর্মী আলী হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি টিম আজ ভোর রাতে সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলাম নবাবকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলী হোসেনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নবাব। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার,মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় নবাবের মাকে নিয়ে গালিগালাজ করায় নবাব ও তার সহযোগী দিপকের মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে যায় এবং গুলি করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে পালিয়ে যায়।
যশোরে পাট ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া সাড়াপোল গ্রামের পাটক্ষেত থেকে মোজাহার বিশ্বাস(৬০) নামে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা দূর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় হরিচানের পাট ক্ষেতে যেয়ে লাশের সন্ধান পায়। পরবর্তিতে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক।
নিহত মোজাহার বিশ্বাস শহরতলী সাড়াপোল গ্রামের মৃত হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুর থেকে ওই এলাকায় প্রচন্ড দূর্গন্ধ আসতে থাকে। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন কোনো প্রাণী হয়তো মারা গেছে। পরবর্তিতে তারা সেখানে যেয়ে দেখে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ পরে আছে। তখন পুলিশকে খবর দিলে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌছান।
এদিকে নিহতের মেয়ে জেসমিন নাহার জানান, গত ১৬ জুন দুপুর দেড়টার দিকে মোজাহার বিশ্বাস বাড়িতে কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তার কোন খোজ না পেয়ে কোতোয়ালি থানায় ১৮জুন সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নাম্বার ১১৪৫/২০২৪। তিনি আরও জানান, মোজাহার বিশ্বাস একজন মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে কাউকে কিছুু না বলে বাড়ি থেকে চলে যেতেন। তবে স্ট্রোক জনিত কারণে তিনি মারা যেতে পারেন বলে স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম সেখানে অবস্থান করছেন। বেশ কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশের উপরের অংশ পচে গেছে। এছাড়া সর্বশরীর ফোলা। তবে ঘটনাটি হত্যা না সাধারণ মৃত্যু তা ড়্গতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ ঘটনাস্থল থেকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
সাংবাদিকে প্রাণনাশের হুমকি জেইউজের উদ্বেগ
সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সদস্য শহিদুল ইসলাম দইচকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি আকরামুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ জানান,শহিদুল ইসলাম দইচকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি, হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন যশোর শহরের পুরাতন কসবা টালিখোলা এলাকার জনৈক আলী মাহমুদ মিয়া ওরফে চুন্নু। এ ঘটনায় সাংবাদিক দইচ তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। যা বর্তমান আদালতে বিচারাধীন। উক্ত মামলা তুলে নেয়ার জন্য আলী মাহমুদ মিয়া ওরফে চুন্নু শহিদুল ইসলাম দইচকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। এ মর্মে গত ২২ জুন ২০২৪ যশোর কোতয়ালী থানায় সাংবাদিক দইচ একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং ১৩৬৪, ২২ জুন ২০২৪।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় জড়িতদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনে প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
অপর দিকে, অনুরুপ বিবৃতিতে দৈনিক খুলনাঞ্চোলের প্রকাশক ও সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, খুনাঞ্চোল পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম দইচকে আলী মাহমুদ মিয়া চুন্নু একের পর এক অব্যাহত হুমকির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন,ঘটনার সাথে জড়িত চুন্নুকে আটক পূর্বক আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগোড়ায় দাড় করানো হোক।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি আজ থেকে পুনরায় চলাচল শুরু
ঈদুল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার থেকে পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে।
দু’দেশের সন্মতিতে ১৬ জুন রোববার ও ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুদিন রেল চলাচল বন্ধ ছিল।
বন্ধন ট্রেনটি কলকাতা থেকে রোববার (২৩ জুন) সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটে বেনাপোল ষ্টেশনে পৌঁছায়।পরে বেনাপোল ষ্টেশন থেকে ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় বলে জানান বেনাপোল রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে বাংলাদেশের খুলনা শহরের মধ্যে সপ্তাহে দুদিন চলাচল করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ট্রেনটি এই রুটে দুই দিন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে গত ১৩ মে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি জানিয়ে ফিরতি চিঠি দেয়।প্রতিবছরই এ সময় ট্রেনটি চলাচল বন্ধ থাকে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে গত ১৬ ও ২০ জুন বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ ছিল। ট্রেনটি দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার চালু হলো। যাত্রীরা যাতে দ্রুত গন্তব্যে যেতে পারে পুলিশ সদস্যরা আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। তবে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও সড়কপথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বেনাপোল রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে গত ১৬ ও ২০ জুন দুই দিন বন্ধ ছিল। বন্ধের পর আজ রোববার আবার চালু হলো। সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুদিন এ রুটে বন্ধন ট্রেনটি চলাচল করে।
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় যশোরে দোয়া মাহফিল
গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় যশোরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার জেলা বিএনপির আয়োজনে বাদ আসর দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য অ্যাড. মো. ইসহক, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম, কাজী আজম, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, যুগ্ম-সম্পাদক জহিরুল আলম, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সম্পাদক আহসান কবির বাবু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, সদস্য সচিব শিকদার সালাউদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন টেনিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য, পৌর মেয়রকে দুইটি মামলায় শোকজ
দুইটি মামলায় আদালতে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান না করা ও দফায় দফায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশকে শোকজ করেছে আদালত। রোববার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া ওই দুই মামলার নির্ধারিত দিনে এ আদেশ দেন। আগামি পহেলা ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানে বিলম্বের বিষয়ে লিখিত ব্যখ্যা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ওই আদেশের অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোর বরাবর পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে একটি মামলা করেন রেলরোড এলাকার রহিমা বেগম। মামলাটি তদন্ত করে তৎকালীন পৌরমেয়রকে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর এ মামলার ১৫টি ধার্য তারিখ পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন না তদন্ত কর্মকর্তা পৌর মেয়র। সর্বশেষ গত ৩১ জানুয়ারি বর্তমান পৌরমেয়রকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে আদালত। কিন্তু আজও পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো ব্যখ্যা প্রদান করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় তাকে শোকজ করা হয়েছে।
একই ভাবে ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শহরের ষষ্টীতলা এলাকার মির্জা মহব্বত আলী আদালতে একটি প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। বিচারক একইভাবে মামলাটি তদন্ত করে তৎকালীন পৌর মেয়রকে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর এ মামলার ১৫টি ধার্য তারিখ পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন না তদন্ত কর্মকর্তা পৌর মেয়র। এক পর্যায় গত ৩১ জানুয়ারি একই ভাবে বর্তমান পৌর মেয়রকে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে আদালত। কিন্তু আজও পর্যন্ত তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল কিংবা এ সংক্রান্ত কোনো ব্যখ্যা প্রদান করেননি কিংবা আদালতে হাজির হননি তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতের নির্দেশনা অমান্য করায় এ মামলায়ও তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এছাড়া এবার তিনি যদি শোকজের জবাব না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
যশোরে অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী শুকুর ওরফে পংকির ১৭ বছর কারাদন্ড
অস্ত্র মামলায় সন্ত্রাসী শুকুর ওরফে পংকিকে ১৭ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে যশোরের একটি আদালত। রোববার অতিরিক্ত দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত শুকুর যশোর সদরের খোলাডাঙ্গা গাবতলা সরদারপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর বিকেলে কোতয়ালি থানা পুলিশ সদরের পতেঙ্গালী গ্রামের কবিরাজ বাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সন্দেহজনক ভাবে শুকুর, তাইজুল, শাহিনকে আটক করে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এসআই শোয়েব উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই আমির আব্বাস আটক তিনজনসহ কানা রুবেলকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলার চার্জ শুনানিতে আসামি শুকুর ও তাইজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় অব্যহতি দেয়া হয়।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি শুকুল ওরফে পংকির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১৯ এ (চ) ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও সাত বছর সশ্রম সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। সাজাপ্রাপ্ত শুকুল ওরফে পংকি পলাতক রয়েছে।
যশোর বাঘারপাড়ার নানীকে বেধে রেখে নাতনীকে গণধর্ষন
যশোরের বাঘারপাড়ায়ে নানীকে বেধে রেখে নাতনীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার নানী বাদী হয়ে নারীর শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেছেন। বিচারক (জেলা ও দয়রা জজ) গোলাম কবির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন বাঘারপাড়ার ওসিকে।
আসামিরা হলো,বাঘারপাড়ার ধুপখালী গ্রামের ওবাইদুল্যাহ, খালেক মন্ডল, কহিনুর, তরিকুল ও মনিরুল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামিদের সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চললে। গত ৭ জুন সকালে আসামিরা ওই বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে ওই পরিবার জানতে পারে লুট করা দুইটি সাববক্স গ্রামের ফারুকের বাড়িতে আছে। ১৫ জুন ভোরে নাতনীকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠের মধ্যে দিয়ে ফারুকের বাড়িতে যাচ্ছিল তারা। পথিমধ্যে জনৈক খালেকের বাগানের কাছে পৌঁছানো মাত্র আসামিরা তাদের গতিরোধ করে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা নাতনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে নানী বাধা দিলে তাকে মারপিট ও বেধে রাখে এবং গর্ণধর্ষন করে। পরে চিৎকারে লোকজন নারিকলেবাড়িয়া ক্যাম্পের পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার ও প্রথমে বাঘারপাড়া পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
যশোর অফিস।। 







































