বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানার মধ্যে পুলিশ গুলিবিদ্ধ

ছবি-সংগৃহীত

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা নৌ-থানায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২৩ জুন) বিকেলে ইলিশা নৌ-থানায় টেবিলের ওপর রাখা পিস্তল থেকে অসাবধানতা বসত গুলি বের হয়ে এএসআই মো. মোক্তার হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মোক্তার ইলিশা নৌ-থানায় প্রায় দুই বছর ধরে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই।

ঘটনার পরে সন্ধ্যার দিকে পূর্ব ইলিশা নৌ-থানা পরিদর্শনে যান ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার। এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নৌ-থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ডিউটিতে যাওয়ার জন্য অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র বুঝে নেয়ার সময় মিস ফায়ার হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। বিষয়টি নৌ-থানার মধ্যে হওয়ায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, নৌ থানার ওসি বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সাথে এএসআই  মোক্তার হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। তারই সূত্রপাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা সম্পর্কে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে অফিসিয়াল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইলিশা নৌ-থানায় কর্মরত মোট পুলিশ সদস্য ৯ জন। মোক্তার আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে ওসি ও দুজন কনস্টবল বরিশাল গেছেন। বাকি ৫ জন থানায় কর্মরত আছেন।

জনপ্রিয়

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন

থানার মধ্যে পুলিশ গুলিবিদ্ধ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা নৌ-থানায় পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২৩ জুন) বিকেলে ইলিশা নৌ-থানায় টেবিলের ওপর রাখা পিস্তল থেকে অসাবধানতা বসত গুলি বের হয়ে এএসআই মো. মোক্তার হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মোক্তার ইলিশা নৌ-থানায় প্রায় দুই বছর ধরে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই।

ঘটনার পরে সন্ধ্যার দিকে পূর্ব ইলিশা নৌ-থানা পরিদর্শনে যান ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার। এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, নৌ-থানার এএসআই মোক্তার হোসেন ডিউটিতে যাওয়ার জন্য অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র বুঝে নেয়ার সময় মিস ফায়ার হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। বিষয়টি নৌ-থানার মধ্যে হওয়ায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, নৌ থানার ওসি বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সাথে এএসআই  মোক্তার হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। তারই সূত্রপাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনা সম্পর্কে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ বড়ুয়াকে অফিসিয়াল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইলিশা নৌ-থানায় কর্মরত মোট পুলিশ সদস্য ৯ জন। মোক্তার আহত হওয়ার পর তাকে নিয়ে ওসি ও দুজন কনস্টবল বরিশাল গেছেন। বাকি ৫ জন থানায় কর্মরত আছেন।