বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূরুঙ্গামারীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সারা দেশের ন্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবি ও অসহযোগ আন্দোলনের মিছিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের  ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
রোববার (৪ আগষ্ট) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের দাবির স্বপক্ষে একটি মিছিল নিয়ে জামতলা মোড় হয়ে সাদ্দাম মোড়ে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতকারী মিছিলে হামলা করে। এতে প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে মিছিলটি পুনরায় জামতলা মোড়ে আসলে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের হামলায় শিকার হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শর্ট গানের গুলি ছোড়ে। এতে ১৫ জন গুলি বিদ্ধ হয় এবং ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে আন্দোলন কারিরা ভূরুঙ্গামারী থানা ঘেরাও করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এস এম সায়েম জানান, হাসপাতালে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কতটি টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে তা হিসাব করে বলতে হবে।
জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে কৃষকের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিকরন এবং নারী ও শিশুর সহিংসতারোধে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভূরুঙ্গামারীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

প্রকাশের সময় : ০৯:৫২:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০২৪
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সারা দেশের ন্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ দফা দাবি ও অসহযোগ আন্দোলনের মিছিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের  ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
রোববার (৪ আগষ্ট) দুপুরে ভূরুঙ্গামারী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের দাবির স্বপক্ষে একটি মিছিল নিয়ে জামতলা মোড় হয়ে সাদ্দাম মোড়ে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতকারী মিছিলে হামলা করে। এতে প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে মিছিলটি পুনরায় জামতলা মোড়ে আসলে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের হামলায় শিকার হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়। পরে উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও শর্ট গানের গুলি ছোড়ে। এতে ১৫ জন গুলি বিদ্ধ হয় এবং ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে আন্দোলন কারিরা ভূরুঙ্গামারী থানা ঘেরাও করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এ ঘটনায় পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এস এম সায়েম জানান, হাসপাতালে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কতটি টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে তা হিসাব করে বলতে হবে।