
গতকাল পুলিশ সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হলেও দেশের থানাগুলো চালু করা যায়নি। নিজেদের নিরাপত্তা শঙ্কায় তাঁরা থানায় যোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে দেশের থানাগুলো এখন কার্যত অচল। কিছু থানার নিরাপত্তায় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। আবার কিছু থানা পাহারা দিচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, পুলিশ শূন্য রাজধানীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাসিন্দারা। একের পর এক হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে অনেকের। তবে তাঁরা পুলিশের আশায় বসে না থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরাই নিশ্চিত করছেন। লাঠি হাতে সারারাত রাস্তায় পাহারায় দিতে নেমে পড়েছেন নিজেরাই।
উত্তরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বসিলা, আদাবর, মিরপুর, জিগাতলা, গুলশান, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী এবং পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের রাতভর রাস্তায় পাহারা দিতে দেখা গেছে। লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতি রাতেই এলাকায় টহল দিয়ে সকালে বাড়ি ফেরেন তারা।
জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ খুলে সমন্বয় করে এলাকাভিত্তিক টহল টিম করে পাহারার কাজটি করছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক। ডাকাতির বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাকাতির অভিযোগ জানিয়ে প্রতিবেশী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্য চাইছেন।
ঢাকা ব্যুরো।। 







































