শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি-সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মনিরুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের থানাগুলোতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনায়েদ আলম পলক, শামীম ওসমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনটিতে আইভীর নাম ছিল না। এটি আইভির বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

মামলায় নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মামলার এক নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সন্ত্রাসীদের  ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। এতে ২০ জুলাই দুই থেকে ৫ নম্বর আসামির (যথাক্রমে শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী ও কায়সার হাসানাত)  নেতৃত্বে ৩০০-৪০০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী বন্দুক, শাটারগান, পিস্তল, রামদা, চাপাতিসহ অত্যাধুনিক দেশি ও বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তখন আদমজী রোডের আল আমিন নগর পাওয়ার হাউসের সামনে থেকে তাদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে এগোতে থাকে। এ সময় আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলাম ২০ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টায় মুজিব ফ্যাশনের সামনে পড়ে গেলে শামীম ওসমান হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে গুলি বাম কিডনির নিচে লাগে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

জনপ্রিয়

রাণীশংকৈলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মারধর, থানায় মামলা 

নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মনিরুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি শামীম ওসমান, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের থানাগুলোতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনায়েদ আলম পলক, শামীম ওসমান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে। তবে কোনটিতে আইভীর নাম ছিল না। এটি আইভির বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

মামলায় নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, কায়সার হাসানাত, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মতি, নূর উদ্দিন মিয়া, শাহজালাল বাদল, শাহ নিজাম, আইভীর ভাই শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল, সাংবাদিক রাজু আহাম্মদ, অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন, কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলসহ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মামলার এক নম্বর আসামি ওবায়দুল কাদের সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সন্ত্রাসীদের  ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। এতে ২০ জুলাই দুই থেকে ৫ নম্বর আসামির (যথাক্রমে শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী ও কায়সার হাসানাত)  নেতৃত্বে ৩০০-৪০০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী বন্দুক, শাটারগান, পিস্তল, রামদা, চাপাতিসহ অত্যাধুনিক দেশি ও বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তখন আদমজী রোডের আল আমিন নগর পাওয়ার হাউসের সামনে থেকে তাদের হাতে থাকা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে ঘটাতে এগোতে থাকে। এ সময় আসামিরা তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে চারদিকে গুলি ছুড়তে থাকে।

এজাহারে আরও বলা হয়, গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলাম ২০ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ছয়টায় মুজিব ফ্যাশনের সামনে পড়ে গেলে শামীম ওসমান হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে গুলি বাম কিডনির নিচে লাগে। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে অটোতে করে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।